Sat, September 28, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

আরজি কর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পাচ্ছি, জানালেন রোগীরা


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৪৪ এএম

আরজি কর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পাচ্ছি,  জানালেন রোগীরা
ছবি- রমিত বন্দ্যোপাধ্যায়

রমিত বন্দ্যোপাধ্যায়: ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার পর থেকে এক কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে কলকাতার স্বাস্থ্য পরিষেবা। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসকদের কাজে ফেরার পরামর্শ দিয়েছে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান। তবে একটু একটু করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। আরজি কর হাসপাতালে পরিষেবা ফের আগের জায়গায় ফিরছে বলে মত একাংশ রোগীর। আরজি কর হাসপাতালে অর্থোপেডিক,  পেড্রিয়াটিকে, অঙ্ককোলজি, হেমাটোলজি, গাইনোকোলোজি সহ বেশ কিছু ওয়ার্ডে চলছে চিকিৎসা।


প্রসঙ্গত আরজি কর হাসপাতালে শুধু কলকাতা নয়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ছাড়াও গ্রাম-গঞ্জ-জেলা থেকে বহু সংখ্যক রোগী এই হাসপাতালে সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবার আশা নিয়ে ভিড় করেন। গরিব মানুষগুলির ভরসা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। সেই মতো মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বারাসত, বীরভূম, বর্ধমান, নিউটাউন থেকে বেশ কিছু মানুষেরা শহরে এসে রোগীরা এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। তাদের বক্তব্য, পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে যদি ফিরে যেতে হয়, তার জন্য তার জন্য রোগীদের মধ্যে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কারণ ওপিডি বন্ধ থাকার ভয়ে মানুষেরা চটজলদি বা ইমার্জেন্সি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসতে চাইছে না। তবে ভর্তি থাকা রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসা চলছে। এদের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছে সিনিয়র চিকিৎসকেরা। চলছে ওপিডি বিভাগের চিকিৎসাও। স্বাভাবিকভাবে টিকিট কেটে রোগী দেখা চলছে।

বর্ধমানের কালনা থেকে হাসপাতালে এসেছিলেন আসাদুল শেখ। তাঁর ৪৫ দিনের শিশুর চিকিৎসার জন্য। তিনি জানিয়েছেন, তারা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে সিনিয়র ডাক্তারদের চিকিৎসা পাচ্ছেন। একেবারে ভিড় না থাকলেও খুব সহজে চিকিৎসা পদ্ধতি চলছে। তিনি আরও জানান, শিশুটির চিকিৎসা এই হাসপাতালের ওপিডিতে প্রথম থেকেই চলছিল,  ১০২ নম্বর থেকে অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবাও পাচ্ছি। খুব শীঘ্রই সেই শিশুটির অস্ত্রোপচার করা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বলে জানান তিনি। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আব্দুস সামাদ শেখ ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েও তার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন আরজি কর হাসপাতালে। এই হাসপাতালে তার কেমোথেরাপি চলছে বলে তিনি জানান। প্রতিদিন বাড়ি ফেরার ধকল এড়ানোর জন্য তিনি সস্ত্রীক হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছে।

বসিরহাটের বাসিন্দা সোনালী সরকার অঙ্কলজি বিভাগে ওপিডির রোগী জানান, তাদের হাসপাতালের পক্ষ থেকে ফোন করে ডাকা হয়েছে চিকিৎসা নিতে আসার জন্য। গাইনোকোলোজি বিভাগের থাকা বারাসত অঞ্চলের রোগীর পরিবারকে দেখা যায় তাদের সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে আনন্দ করতে।

অর্থোপেডিক বিভাগের এক ডাক্তার জানান, আমরা পরিষেবা কোনও ভাবেই বন্ধ করিনি। খুবই কম সংখ্যক মানুষ এসেছেন এই কয়েকটা দিন। তবে বহু রোগীর বক্তব্য, তারা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরলে চিকিৎসা ব্যবস্থা আর একটু গতিও পাবে আশাবাদি রোগীর পরিবারেরা।