Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

যোগী রাজ্যে ২ কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ পরিবারের


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:১৫ এএম

যোগী রাজ্যে ২ কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ পরিবারের

লখনই, ২৭ আগস্টঃ যোগী রাজ্যে ২ কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই কিশোরীর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। মৃতদের একজনের বয়স ১৮, অপর জন ১৫ বছর বয়সী। খুনের অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবার।

মৃতের পরিবার জানান, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মন্দিরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিল মেয়ে তারা। বৃষ্টির কারণে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে গিয়ে রাত ৯টায় বাড়ি ফিরে আসে। রাতে আবার তারা জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। রাত্রি ১টায় অনুষ্ঠান শেষ হয়। কিন্তু তারপরও তারা বাড়ি ফেরেনি। আমরা তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করি। মৃতের এক বাবার কথায়, "এক শিশু জানায়, তারা খালার বাড়িতে ঘুমিয়েছে। সেমত আমরা সেখানে গিয়েও তাদের কোনও খোঁজ পাইনি।"

মঙ্গলবার সকালে একটি বাগানের গাছে মৃতদেহ ঝুলতে দেখে হুলস্থুল পড়ে যায় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যায় মৃতের পরিবার। এক বাবা বলেন, "সকালে তাদের এক পরিচিত ব্যক্তি বাগানের একটি গাছে কেউ ঝুলছে বলে খবর দেয়। ভোর ৬টায় আমরা সেখানে গিয়ে দেখি মেয়েরা ঝুলছে। আমরা ধারণা কেউ তাদের খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।"

মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও একটি ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ফোন ও সিম কার্ডও উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ প্রধান অলোক প্রিয়দর্শী জানিয়েছেন, "তারা দু'জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। ময়নাতদন্তে ঘটনার আসল তথ্য জানা যাবে। আমরা একটি ফোন এবং একটি সিম কার্ড পেয়েছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

এদিকে, উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব ঘটনার দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা সমাজে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে। এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, "বিজেপি সরকারের উচিত অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত করা এবং এই সন্দেহজনক খুনের ঘটনা সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য দেওয়া। এ ধরনের ঘটনা সমাজে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করবে। নারীদের মনে গভীরভাবে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করবে।" একইসঙ্গে তিনি দাবি তুলেছেন, সময় এসেছে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মহিলাদের নিরাপত্তাকে গুরুতর ইস্যু হিসেবে দেখার।