Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

খুলে গেল ছদ্মবেশ, ছাত্র নয় আরএসএস


ইমামা খাতুন   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:২১ পিএম

খুলে গেল ছদ্মবেশ, ছাত্র নয় আরএসএস

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’  নামে অরাজনৈতিক ব্যানারে রাজ্যের ছাত্ররা নির্যাতিতার বিচার চেয়ে নবান্ন অভিযান করছে বলে দাবি করে আসছিল ক’দিন ধরে। এই নবান্ন অভিযান স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র আন্দোলন বলেই দাবি করছিলেন তারা। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও ফুটেজ থেকে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ -এর আহ্বায়কের এক বিজেপি নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের প্রমাণ মেলায় তাদের ‘অরাজনৈতিক’ পরিচয়টি প্রশ্নের মুখে পড়ে। 

প্রশ্নের উত্তর দিতে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হন ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ -এর তিন প্রতিনিধি। সেখানে আহ্বায়কের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে  প্রশ্ন উঠলে মেজাজ হারিয়ে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে গেলেন ছাত্র নেতা। শুধু তা-ই নয়,  যৌন নির্যাতনের মামলার অভিযোগ যাঁর উপরে রয়েছে, সেই আহ্বায়ক কীভাবে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ইনসাফ চেয়ে মিছিলে হাঁটতে পারেন সেই প্রশ্নের উত্তর দিতেও অস্বীকার করলেন নবান্ন অভিযানের ওই ছাত্রনেতা। 

আর জি কর হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ইনসাফ চেয়ে দোষীদের চূড়ান্ত শাস্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান কর্মসুচির ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’।

 

নবান্ন অভিযান কর্মসূচিকে সফল করতে সোমবার বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ-এর প্রতিনিধিরা। ওই সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন সময়েই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ে।

 

পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ নামের অরাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যে তলে তলে আরএসএস-এর গোপন সম্পর্ক রয়েছে তা তা মুখ ফসকে বলে ফেলেন ছাত্র নেতা তথা নবান্ন অভিযানের অন্যতম আহ্বায়ক শুভঙ্কর হালদার। তারপরেই তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে খেই হারিয়ে হম্বিতম্বি শুরু করেন তিনি। বৈঠকেই আঙুল উঁচিয়ে প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককে কড়া ধমকও দেন তিনি। এমনকী নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে পুলিশের অনুমতি আছে কি না, সেই প্রশ্নেরও উত্তর দিতেও নাস্তানাবুদ হয়ে যান আরএসএস-বিজেপির মদতপুষ্ট তথাকথিত ‘ছাত্রনেতা’রা। 


নবান্ন অভিযানের অন্যতম আহ্বায়ক ‘ছাত্রনেতা’ শুভঙ্কর হালদার এদিন শুভঙ্কর হালদার বলেন, ‘আমার নামে ৩৫টা পুলিশ কেস আছে। জেলও খেটেছি।’ কিন্তু এরপরেও সোমবারের বৈঠকে চূড়ান্ত ঔদ্ধত্যে এড়িয়ে গেলেন তাঁর বিরুদ্ধে থাকা যৌননির্যাতনের অভিযোগ।  


‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’-এর ব্যানারে নবান্ন অভিযান পরিচালনা করতে এলেও অরাজনৈতিক এবং ক্লিন ইমেজ যে তাঁদের নেই, সেকথা প্রমাণ হয়ে গেল এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে।