Sat, September 21, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

বদলাপুর শিশু যৌন নির্যাতনে স্কুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ হাইকোর্টের


Shamima Ahasana   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ পিএম

বদলাপুর শিশু যৌন নির্যাতনে স্কুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ হাইকোর্টের

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দেশজুড়ে যা হচ্ছে তাকে 'ধর্ষণ সংস্কৃতি' বললে ভুল হবে না। একদিকে আর জি কর অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের নার্সকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এমন একটা পরিবেশে দেশবাসীকে ভাবিয়েছে বদলাপুর। মাত্র ৩ ও ৪ বছরের দুই শিশুকন্যাকে স্কুলে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এই ঘটনার পর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে বম্বে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি চলাকালীন বদলাপুর পুলিশ, মহারাষ্ট্র সরকার ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে তীব্র ভৎসনা করেন বিচারপতিরা। মামালাটির শুনানি হয় রেবতী মোহিতে ডেরে ও পৃথ্বীরাজ চ্যাভনের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতিরা বলেন, এটা মর্মান্তিক ঘটনা। মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করা যাবে না। এফআইআর দায়ের করতে কেন দেরি হল, এই প্রশ্ন তুলে পুলিশকে তীব্র ভৎসনা করে আদালত।

গত ১২ ও ১৩ আগস্ট বদলাপুরের ওই স্কুলের সাফাইকর্মী যৌন নির্যাতন করে দুই শিশুকে। কিন্তু ঘটনার কথা সামনে আসার পরও শেষ পর্যন্ত এফআইআর দায়ের হয় ১৬ আগস্ট আর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় ১৭ আগস্ট। এই গদাই লস্করি চালের জন্য পুলিশ ও শিন্ডে সরকারকে ধমক দেন বিচারপতিরা।

বিচারপতিরা বলেন, সাধারণ মানুষ পথে না নামা পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। সাধারণ মানুষ রাস্তায় না নামলে কি পদক্ষেপ নেবে না সরকার? পুলিশ ঠিক ভাবে নিজের কাজ করেনি। তিন চার বছরের শিশুদেরকে যৌন নির্যাতন করা হল। কিভাবে এসব ঘটনা দেখে চুপ থাকতে পারে পুলিশ? স্কুলেও যদি শিশুর নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সে কোথায় যাবে? এটা মর্মান্তিক। যেভাবে বদলাপুর পুলিশ এই মামালায় গড়িমসি করেছে, তাতে আদালত অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।

বিচারপতিরা বলেন, আমরা শুধু চাই ওই দুই শিশু সুবিচার পাক। আদালতের নির্দেশ, নির্যাতিতা ও তাদের পরিবারকে সম্পূর্ণ সহায়তা দেবে পুলিশ। নির্যাতিতাদের যেন আর কোনও ভোগান্তি না হয়।

বিচারপতিরা বলেন, এই ঘটনায় স্কুল ও পুলিশ যেভাবে নিরবতা পালন করেছে তা নক্ক্যারজনক। মানুষ যদি পুলিশ ও বিচারব্যবস্থার উপর হারিয়ে ফেলে, সুবিচার পেতে বারবার তাদেরকে রাস্তায় নামতে হয় তবে এবার ভবিষ্যত নিয়ে ভাবা দরকার।

বিচারপতিরা রাজ্য সরকারের গঠন করা সিটকে নির্দেশ দিয়েছে ঘটনার তদন্ত করে ২৭ আগস্টের মধ্যে রিপোর্ট জমা করার জন্য। ওই রিপোর্টে এও জানাতে হবে যে নির্যাতিতা ও তাদের পরিবারের বয়ান রেকর্ডের জন্যে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে সিট। কেন এফআইআর দায়েরে দেরি করা হল তাও জানাতে হবে। আদালত বলে, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, নির্যাতিতাদের মধ্যে একজনের বয়ান এখনও রেকর্ড করেনি বদলাপুর পুলিশ। মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা যদি করে কেউ তাহলে সেই অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আদালত। রাজ্য সরকার এই ঘটনার পর মহিলাদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে কি পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানাতে হবে। স্কুল সবকিছু জেনেও মুখে কুলুপ এঁটেছিল। এটা তাদের জানা উচিৎ যে পকসো আইন অনুযায়ী এধরণের ঘটনায় চুপ থাকাও অপরাধ। অ্যাডভোকেট জেনারেল বীরেন্দ্র সরাফ জানান, মামলা ধামাচাপা দেওয়ার অপরাধে খুব শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া হবে ওই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বিরুদ্ধে।