Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

জল্পনার মুখে মাস্টারস্ট্রোক, নয়া দল গড়ার ঘোষণা চম্পাই সোরেনের


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:১২ এএম

জল্পনার মুখে মাস্টারস্ট্রোক, নয়া দল গড়ার ঘোষণা চম্পাই সোরেনের

রাঁচি, ২১ আগস্ট: মাস্টারস্ট্রোক দিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে চম্পাইয়ের ঘোষণা নতুন দল গড়ছেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা চম্পাইয়ের গতিবিধি রাজনীতি মহলে জোর চর্চার বিষয় ছিল। বুধবার সোরেন জানালেন, নতুন দল গড়ছেন তিনি। ভবিষ্যতে কাদের সঙ্গে জোট করতে চান, সেই ইঙ্গিতও এদিন দিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, জল্পনা মাঝে দিল্লিতে গিয়েছিলেন চম্পাই সোরেন। তখন তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে কানাঘুঁষো চলছিল। তবে তিনি নিজেই সমস্ত পরিকল্পনার কথা জানালেন। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের মন্ত্রী। ভবিষ্যতে কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদে দেখা যাবে চম্পাই সোরেন কেও? 

বর্ষীয়ান নেতা সোরেন জানিয়েছেন, দীর্ঘ বছর ধরে দলের জন্য কাজ করার পরেও তাঁকে জেএমএম নেতাদের কাছ থেকে অপমানিত হতে হয়েছে। এবার তার জীবনের নয়া অধ্যায় শুরু হবে। আমি রাজনীতি ছাড়ছি না, আমি আমার অনুগামীদের কাছ থেকে ভালোবাসা ও পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। আমি তিনটি বিকল্পের কথা বলেছিলাম। তার মধ্যে ছিল রাজনীতি সংগঠন বা বন্ধু ত্যাগ করব। এবার সেই অধ্যায় বন্ধ করে দিলাম, শুরু হবে নয়া অধ্যায়। চম্পাই বলেন, জেএমএম-এর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এই ঝাড়খণ্ডের জন্য আমি ছাত্রজীবন থেকেই সংগ্রাম করেছি। আমি দলের সুপ্রিমো শিবু সোরেনের নেতৃত্বে আলাদা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জন্য আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম। যদি তার সমমনস্ক বন্ধু পান, তাহলে তিনি সেই সংগঠনের সঙ্গে হাত মেলাতে প্রস্তুত। 
বর্ষীয়ান নেতা চম্পাই সোরেন এদিন সেরাইকেলা-খারসাওয়ান জেলার তার পৈতৃক গ্রাম ঝিলিঙ্গোরায় পৌঁছন। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে এই কথাগুলি বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, হেমন্ত সোরেনকে ইডি গ্রেফতার করার পর চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন চম্পাই সোরেন। গত ৪ জুলাই পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। হেমন্ত সোরেন জামিন পাওয়ার পর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরায় জেএমএম। 
৬৭ বছর বয়সি এই আদিবাসী নেতা ১৯৯০ এর দশকে একটি পৃথক রাজ্য গঠনের লড়াইয়ে অবদানের জন্য 'ঝাড়খণ্ডের বাঘ' নামে পরিচিত ছিলেন। ২০০০ সালে ঝাড়খণ্ড বিহার থেকে বিভক্ত হয়।