Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত বৈষ্ণব নগরের চকবাহাদুরপুরের একই পরিবারের চারজন


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:০৪ এএম

কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত বৈষ্ণব নগরের চকবাহাদুরপুরের একই পরিবারের চারজন

পুবের কলম প্রতিবেদক, মালদা: সোমবারের কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘনায় গুরুতর জখম মালদার বৈষ্ণবনগরের একই পরিবারের ৪ সদস্য। তার মধ্যে ২ শিশুও রয়েছে। দুর্ঘটনার খবর বিকেল নাগাদ  বাড়িতে আসে। তারপর থেকে উদ্বিগ্ন পরিবার সদস্যরা। খবর পেয়ে পঞ্চায়েত সদস্য সহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য ছুটে যান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই আহতদের বাড়িতে ছুটে যান মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, স্থানীয় বিধায়ক চন্দনা সরকার‌ সহ ব্লক ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিক। সোমবার কোচবিহার থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘায় তাঁরা মালদায় ফিরছিলেন। কালিয়াচক-‌৩ ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকবাহাদুরপুরের গোবিন্দ হালদার পাড়ার বাসিন্দা দুর্ঘটনায় জখম ওই পরিবার।

আহতরা হলেন ইন্দ্রজিত মণ্ডল(‌‌৩৭)‌, তাঁর স্ত্রী পুতুল মণ্ডল(‌৩২)‌, ছেলে শিবা মণ্ডল(‌৭)‌ এবং মেয়ে সৃষ্টি মণ্ডল(‌৪)‌। পরিবার-‌সহ ইন্দ্রজিত কোচবিহারে গিয়েছিলেন ধর্মীয় দীক্ষা নিতে। কাঞ্চনজঙ্ঘায় ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা। তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁদের দুর্ঘটনার কথা বিকেলের দিকে জানতে পারেন। ইন্দ্রজিত নিজেই ফোন করে সব জানান। ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্য রাতেই ছুটে যান উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে। ইন্দ্রজিত পেশায় একজন চাষি। সাধারণ কৃষক পরিবারের সদস্য চাষবাস করেন তিনি।

ওই পরিবারের এক বধূ সুমিতা মণ্ডল জানান, ‌আমার ভাসুর ও জা, তাঁদের ছেলেমেয়ে নিয়ে দীক্ষা নিয়ে ফেরার সময় ট্রেনে দুর্ঘটনায় পড়েন। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিকেল চারটার সময় ভাসুর নিজেই ফোন করে জানান আমাদের। জায়ের মাথায় আঘাত লেগেছে। তিনি কথা বলতে পারছেন না এই খবর পেয়েছি। তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক, ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনায় করি।‌ ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সোমবার রাতেই গোবিন্দ হালদার পাড়ায় ছুটে যান মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, স্থানীয় বিধায়ক চন্দনা সরকার, সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও সুকান্ত শিকদার, বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ প্রশাসন প্রমুখ। বিধায়ক চন্দনা সরকার জানান, দুর্ঘটনার জখম হওয়ার খবর পেয়ে আমরা ছুটে এসেছি বাড়িতে। খোঁজখবর নিলাম। আমরা ওই পরিবারের পাশে রয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখছি।