ইমামা খাতুন প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম
ওয়াশিংটন ১৬ আগস্ট: নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৬ আগস্ট নির্বাচন হলে তাতে জেতার সম্ভাবনা বেশি ছিল কমলারই। সমীক্ষার মডেল থেকে এই ফলাফল ঘোষণা করেছে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিকটি। দৈনিকটি বলছে, বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পর বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জাতীয়ভাবে ২ পয়েন্ট বেশি অর্জন করেছেন এবং রবিবার পর্যন্ত জাতীয় সমীক্ষায় এগিয়ে ছিলেন কমলাই। আর সুইং স্টেটগুলিতেও কমলা হ্যারিস ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন। সমীক্ষায়, সাতটি সুইং অঙ্গরাজ্যের মধ্যে দুটি’তেই কমলা এগিয়ে রয়েছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট আরও বলেছে, ‘এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমাদের পোলিং মডেল অনুযায়ী ১৬ আগস্ট নির্বাচন হলে তাতে কমলাই বাজিমাত করতেন।’ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কমলা উইসকনসিন, পেনসিলভেনিয়া ও মিশিগানের মতো অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছেন। মার্কিন দৈনিকের পোলিং মডেল অনুসারে, ইলেক্টোরাল কলেজের হিসাবে ১৬ আগস্ট নির্বাচন হলে ট্রাম্পকে পিছনে ফেলে দিতেন কমলা। প্রতিটি রাজ্যের ভোটার এদিনে ভোট দিলে জেতার ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বেশি এগিয়ে থাকতেন তিনি। ইলেক্টোরাল কলেজে জয় পেতে হলে ২৭০টি ভোট পেতে হবে কমলাকে। তবেই তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন অন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নির্বাচনের মতো নয়। এতে সরাসরি জনগণের ভোটে (পপুলার ভোট হিসেবে পরিচিত) প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। তারা মূলত পছন্দের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচকমণ্ডলীকে নির্বাচিত করেন। ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামের এই নির্বাচকমণ্ডলী প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কাজটি করে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের মোট ভোটসংখ্যা ৫৩৮। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট পেতে হয়। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১০ সালের সমঝোতা অনুযায়ী ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে রয়েছে সর্বোচ্চ ৫৫টি ইলেক্টোরাল ভোট। আবার আলাস্কা, সাউথ ডাকোটা, ভারমন্টের মতো অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রতিটিতে রয়েছে ৩টি করে ইলেক্টোরাল ভোট।