Sat, September 21, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

ভারতে মাঙ্কি পক্স নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে কেরলে জারি সতর্কতা, গ্লোবাল হেলথ এমারজেন্সি ঘোষণা করল 'হু'


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:৩১ এএম

ভারতে মাঙ্কি পক্স নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে কেরলে জারি সতর্কতা, গ্লোবাল হেলথ এমারজেন্সি ঘোষণা করল 'হু'

নয়াদিল্লি, ১৬ আগস্ট:  করোনায় ঘরবন্দি হয়েছিল গোটা বিশ্ব। এবার চোখ রাঙাচ্ছে এম পক্স বা মাঙ্কি পক্স। এম পক্স আগে মাঙ্কি পক্স নামে পরিচিত ছিল। কোভিডের পরে এবার বিশ্বের কাছে আরও চ্যালেঞ্জর মুখে এম পক্স। আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও স্বস্তিতে নেই ভারত। কেরলে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে বাড়তি সতর্কতাও। মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ে র্যাুশ হওয়ার পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এই ভাইরাসের কারণে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

বিশ্বব্যাপি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছে 'হু' বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই নিয়ে দুবছরে দুবার মাঙ্কি পক্সকে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা' বলে ঘোষণা করেছে 'হু'। সম্প্রতি আফ্রিকার কঙ্গো উপদেশে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার কারণেই এই ঘোষণা করেছে 'হু'। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০২২ সালে ১১৬টি দেশের এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় ৯৯,১৭৬ মামলা সামনে আসে, মৃত্যু হয়েছিল ২০৮ জনের । 
ইন্টারন্যাশানাল হেলথ রেগুলেশনস ইমারজেন্সির কমিটি 'হু' এবং অন্যান্য দেশের পাঠানো তথ্য উপরে নির্ভর করেই এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে মাঙ্কি পক্সকে ‘গ্লোবাল হেলথ এমারজেন্সি’ বলে চিহ্নিত করেছে। মাঙ্কি পক্স ভাইরাস প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি ভাইরাস-১ ও অপরটি ভাইরাস-২। ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। যার নাম মাঙ্কি পক্স ভাইরাস আইবি। বিশেষজ্ঞদের মতে গত বছরের তুলনায় এই বছরে এই ভাইরাসের সংক্রমণের হার ১৬০ শতাংশ বেশি।

২০২২ সালেও মাঙ্কি পক্স- অত্যাধিক পরিমাণে দেখা দেয়। তার জেরে সেই সময় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। পরে মে মাস থেকে বিশ্ব জুড়ে মাঙ্কি পক্স হু হু ছড়িয়ে পড়ে। হু-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে আফ্রিকাতেই প্রায় ১৭ হাজারের বেশি আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০০ গন্ডি। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫২৪ জনের। আশির দশকের প্রথম মাঙ্কি পক্সের খোঁজ মিলেছিল পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই। যেহেতু মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ এবং যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে, তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলে। তাই আফ্রিকাতেই মাঙ্কি পক্সের বাড়বাড়ন্ত।