Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

আর জি কর কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ালেই ব্যবস্থা নেবে লালবাজার


ইমামা খাতুন   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৬:০২ পিএম

আর জি কর কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ালেই ব্যবস্থা নেবে  লালবাজার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে যৌন হেনস্থার পর নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনার প্রতিবাদ চলছে কলকাতা সহ গোটা দেশে। হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং নারকীয় খুনের ঘটনায় অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছেন একাধিক সামাজিক-রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুবিচার চেয়ে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ূয়া এবং শিক্ষকরাও পথে নেমেছেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় চিকিৎতসক তরুণীর নৃশংস খুনের ঘটনায় জড়িত দোষীদের কঠোরতম শাস্তির আবেদন করা হবে বলে সাফ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু, তারপরেও ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক গণ মাধ্যমে ভেসে উঠছে বিভিন্ন তথ্য । ওইসব তথ্যের কোনটা ঠিক আর আর কোনটা মিথ্যে, তা নিয়ে জনমানসে ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তি। আর জি কর হাসপাতাল কান্ডে ভিত্তিহীণ ভুয়ো তথ্য না ছড়ানোর জন্য রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।তারপরেও দেখা যাচ্ছে সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই ভুয়ো এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক গণ মাধ্যনে। ফেসবুক, ট্যুইটার সহ অন্য কোনও ডিজিটাল মিডিয়ায় ভুয়ো তথ্য আপলোড করে যারা গুজব ছড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। ভিত্তিহীণ ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে। যারা এই ধরণের মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন, তাদের নোটিস পাঠানো হতে পারে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, সোমবার কলকাতা পুলিশের ফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এক বার্তায় লেখা হয়েছে, ‘আমাদের তদন্ত চলছে আন্তরিক সততা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে। এই নারকীয় ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি তথ্যপ্রমাণসহ। আরও কেউ ঘটনায় জড়িত ছিল কী না, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে। মৃতার পরিবারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে, এবং তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ তাঁদের জানাচ্ছি আমরা।’ এ ছাড়াও অই বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের আন্তরিক অনুরোধ, না-যাচাই-করা এই ধরণের তত্ত্ব, তথ্য বা গুজবে কান দেবেন না। এতে তদন্তের ক্ষতি হয়, ন্যায়ের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, এবং সর্বোপরি শোকগ্রস্ত পরিবারটি আরও বেশি করে যন্ত্রণাদগ্ধ হয়।’ সততা, আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চলছে। কাল্পনিক তত্ত্ব এবং গুজব ছড়ালে সেই তদন্তেরই গতি ব্যাহত হয় বলেও কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে।