Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

আরজিকর কাণ্ড: নির্যাতিতার সঙ্গে রাতের ডিনারে থাকা ৪ জন চিকিৎসককে নোটিশ লালবাজারের, আজই জিজ্ঞাসাবাদ


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:৪২ এএম

আরজিকর কাণ্ড: নির্যাতিতার সঙ্গে রাতের ডিনারে থাকা ৪ জন চিকিৎসককে নোটিশ লালবাজারের, আজই জিজ্ঞাসাবাদ

 

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আরজিকর কাণ্ড নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা রাজ্য। প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ফলে ব্যাহত চিকিৎসা পরিষেবা ব্যবস্থা। ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষের জীবন। এদিকে শুক্রবার আরজিকর কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের ঘটনায় জোর কদমে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, শীঘ্রই মামলার নিষ্পত্তি হবে। এবার হাসপাতালের চারজন চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠালো লালবাজার। তাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্তে খবর, ঘটনার দিন রাতে ওই চারজন চিকিৎকের সঙ্গে ডিনার করেছিলেন নির্যাতিতা। তার পর সেমিনার হলে ঘুমোতে চলে যান তিনি। নীরজ শর্মার খেলার দেখার সময় একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করেছিলেন। তারা একসঙ্গে পাঁচজন রাতের খাবার খেয়েছিলেন। জানা যাচ্ছে, যে চার জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন হাউজস্টাফ আর বাকি তিন জন চিকিৎসক। তাঁদের আজকেই লালবাজারে আসতে বলা হয়েছে। সেদিন রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে কি কথা হয়েছিল, সেই সম্পর্কে কথা বলবেন পুলিশ আধিকারিকরা। 

ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে জেরা করে পুলিশের হাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু দাবি উঠতে শুরু করেছে, আরজি কর হাসপাতালে তিলোত্তমাকে ‘ধর্ষণ’ ও খুনে এক জন নয়, একাধিক জন জড়িত। একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল  অডিয়ো চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন আরজি কর হাসপাতালেরই এক ইন্টার্ন। তাঁর সঙ্গে অন্য এক মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি ডাক্তারের ফোনালাপ ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল অডিয়োতে ইন্টার্ন দাবি করেছিলেন, “একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। যেটা নিয়ে আমরা সরব হই। কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল, আমরা ওটা ভুলে যাই। কিন্তু, ওরা তো জানে না, সেইটুকু আইকিউ রয়েছে, যে ওটা ওর পক্ষে করা সম্ভব কি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যেরকম ইনজুরি রয়েছে দিদির(তিলোত্তমা), তাতে তো একজনের কাজ নয়, কমপক্ষে ২ বা তিনজন রয়েছে। দাদা, আমরা সন্দেহ করছি এটা ইন্টার্নের কাজ। যে ইন্টার্নের যথেষ্ট রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও যথেষ্ট উচ্চপদস্থ। নাম নিতে পারব না।”