Sat, September 28, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

মোবাইল ভর্তি পর্ন ভিডিয়োতে , ৫ টি বিয়ে, কুকীর্তিতে ভরা আরজিকর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের প্রোফাইল


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:১০ এএম

মোবাইল ভর্তি পর্ন ভিডিয়োতে , ৫ টি বিয়ে, কুকীর্তিতে ভরা আরজিকর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের প্রোফাইল

 

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  কুকীর্তিতে ভরা ছিল আরজিকর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের প্রোফাইল। নিজেকে পুলিশের কর্মী বলে পরিচয় দিলেও গায়ে থাকত না উর্দি। সিভিল পোশাকেই দেখা যেত তাকে। বাইকে পুলিশের লোগো লাগিয়ে ঘুরে বেড়াত সে। একটা থোড়াই কেয়ার অ্যাটিটিউট ছিল তার মধ্যে এমনই দাবি করেছেন সঞ্জয় রায়ের প্রতিবেশীরা। এলাকায় সব সময় ক্যামো প্যান্ট আর বুট পরে ঘুরত। সিভিলে ডিউটি করছে বলে প্রতিবেশীদের জানাত।

সম্প্রতি ক্যানসারে মারা যায় সঞ্জয়ের স্ত্রী। কিন্তু স্ত্রী ছাড়াও একাধিক নারী সঙ্গ ছিল তার। প্রতিবেশীদের দাবি আরও পাঁচটি বিয়ে করেছিল সে। পুলিশ সূত্রে খবর, মোবাইলে মিলেছে একাধিক পর্ন ভিডিয়ো। যে ধরনের পর্ন সে দেখত তা সচরাচর সাধারণ মানুষ দেখবে না।পুলিশে কর্মরত মহিলা কর্মীদেরও উক্ত্যক্ত করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত বিকৃত মানসিকতার।

প্রথমে ভবানীপুরের বাড়িতে থাকলেও পরে উল্টোডাঙার পুলিশি ব্যারাকে থাকত সে। পাড়ায় দুর্নাম ছিল তার। টাকা নিয়ে পৈতৃক ভিটে লিখে দেওয়ার নাম করে প্রতিবেশীদের থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছে ধৃত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। পাওনাদারের তাগাদায় শেষমেশ বাড়িতে বেশি আসত না সঞ্জয়। কলকাতা আর্মড পুলিশের ফোর্থ ব্যাটালিয়নে চাকরি করত অভিযুক্ত। উলটোডাঙার পুলিশ ব্যারাকে থাকত সে। সিভিক ভলান্টিয়ার হলেও পুলিশের সঙ্গে ভালো সখ্যতা ছিল তার।

এদিকে অভিযুক্তের মায়ের দাবি, তার ছেলে কলকাতা পুলিশে কর্মরত।  ধৃতের বিরুদ্ধে খুন এবং ধর্ষণের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷

শুক্রবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের চার তলায় সেমিনার রুম থেকে ওই তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়৷ একটি পোডিয়ামের উপর তার দেহ শোয়ানো অবস্থায় ছিল।

সোদপুরের বাসিন্দা ছিলেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়া আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের পোস্ট গ্রাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেও ওই চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন করে নৃশংস ভাবে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়৷ ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে এলেই এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হবে পুলিশ৷