Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

সেতু বিপর্যয় অব্যাহত বিহারে, ফের ভেঙে পড়ল কুড়ি বছরের পুরোনো সেতু


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:৩১ পিএম

সেতু বিপর্যয় অব্যাহত বিহারে, ফের ভেঙে পড়ল কুড়ি বছরের পুরোনো সেতু

পাটনা, ১১ অগাস্ট: সেতু বিপর্যয় অব্যাহত বিহারে। ফের ভেঙে পড়ল সেতু। শুক্রবার রাতে রাজ্যের বৈশালী জেলায় একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। এনিয়ে চলতি বছরের জুন থেকে ১৫টি ভাঙার ঘটনা ঘটল। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার গভীর রাতে বৈশালী জেলায় প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদবের বিধানসভা কেন্দ্রের প্লাস ২ স্কুলের কাছে প্রায় ২০ বছর আগে তৈরি করা হয় সেতুটি। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে গঙ্গা নদীতে জল ঢুকে যাওয়ায় সেতুটি ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ সেতুটি ভেঙে পড়ায় রাঘোপুর পূর্ব ও রাঘোপুর পশ্চিম পঞ্চায়েতের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, প্রায় ২০ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সময়ের ব্যবধানে এটি সম্পূর্ণ জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেতুর ওপর দিয়ে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। সেতু ভেঙে পড়ায় রাঘোপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুটি পঞ্চায়েতের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ব্লক ও জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে বিকল্প ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকারের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন স্থানীয়রা। রাঘোপুর ইস্টের বাসিন্দা বিনোদ যাদব বলেন, "এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।"

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট বিহার সরকারকে নোটিশ জারি করে রাজ্যের বিদ্যমান ও নির্মীয়মাণ সেতুগুলির সর্বোচ্চ স্তরের কাঠামোগত নিরীক্ষা করতে নির্দেশ দেয়। রাজ্যে সেতু ভেঙে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুর্বল সেতুগুলি ভেঙে ফেলে পুনর্নির্মাণের নির্দেশও দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার কাটিহার জেলার বাকিয়া সুখে গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। গ্রামীণ পূর্ত বিভাগ কর্তৃক ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি তৈরি করছিল। নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় সেতুর দুটি পিলার ভেসে যায়। প্রসঙ্গত, এর আগে কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, পূর্ব চম্পারণ, পশ্চিম চম্পারণ, সারন, সিওয়ান ও গোপালগঞ্জ জেলায় সেতু ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া যায়। রাজ্যে ঘন ঘন সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তেজস্বী বলেন, "এই ধরনের ঘটনায় সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা আমাদের জানা নেই।"