Kibria Ansary প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:০৩ পিএম
শান্তিনিকেতন: কঙ্কালীতলায় অস্থি বিসর্জন করতে এসে নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হল বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনের এক ছাত্রের। বোলপুর পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কালীমোহন পল্লীর বাসিন্দা মহাদেব হাজরা বয়স ২৪ বছর। বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনের ছাত্র ছিলেন তিনি। গতকাল কালীমোহন পল্লীতে একজন বয়স্ক মানুষের মৃত্যু হয়। শুখ নগরের শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। কঙ্কালীতলার কোপাই নদীতে অস্থি বিসর্জনের জন্য তার পরিবারের সঙ্গে বেশ কয়েকজন স্থানীয় যুবক কঙ্কালীতলায় আসেন। সঙ্গে ছিলেন মহাদেব হাজরা। রাত্রে সকলের স্নান করতে নামেন নদীতে। সকল বন্ধুরা বাড়ি চলে গেলেও কাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন মহাদেব। পরিবারের পক্ষ থেকে বন্ধুদের মহাদেবের বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবশেষে তারা জানান, সকলেই স্নান করতে নেমেছিলেন। মহাদেব সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু স্নান করতে নেমে মহাদেবকে আর খুঁজে পাননি তারা। এরপরই পরিবারে তরফ থেকে থানায় এই বিষয়টি জানানো হয়। বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়ালের নেতৃত্বে ওসি শান্তিনিকেতন টিম নিয়ে এসে নদীতে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন। বিকাল থেকে নদীর জলে নেমে তন্ন তন্ন করে খোঁজা কাজ হয়। মহাদেব কে খোঁজার জন্য কলকাতা থেকে উদ্ধারকারী দলকেও ডাকা হয় ঘটনাস্থলে। উদ্ধারকারী দল আসার আগে স্থানীয় দলের তৎপরতায় কঙ্কালীতলার শ্মশানের কাছে কোপাই নদীর চেক ড্যামের কাছে একটি ঝোঁপ থেকে মৃতদেহটি পাওয়া যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দুবরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়ি বিকাল থেকেই উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে ঘটনার স্থলে উপস্থিত হন। মৃতদেহটি উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। কিন্তু মঙ্গলবার রাতের ঘটনা হলেও, থানায় জানাতে এতো দেরী কেন হলো? তার উত্তরে সঙ্গী সাথীদের তরফে জানা যায়, ঘটনার জেরে সবাই ভয় পেয়ে যান। তাই সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানাতে পারেননি।