গ্রাম তৃণমূলকে সব সময় এগিয়ে রাখলেও, কিছু ব্যাতিক্রমী ঘটনায় কাটাছেঁড়া রাজ্যের নির্দেশের অপেক্ষায়
Bipasha Chakraborty
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:৫২ এএম
দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: প্রভূত উন্নয়ন সত্ত্বেও, কেন বীরভূমের একটি অঞ্চলের কোন কোন গ্রামে পিছিয়ে তৃণমূল। এই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে। এব্যাপারে জেলা সভাধিপতি কাজল সেখ বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ পেলেই ফলাফল নিয়ে কাটা ছেঁড়া করা হবে। জেলা নিজে এগুলো করতে পারে না।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভূত উন্নয়নের ফসল তুলেছেন কর্মী সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি জন সমর্থন অসীম। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও সব থেকে বিতর্ক বড়শাল পঞ্চায়েতের বড়শাল গ্রাম ঘিরে। কারণ এই গ্রাম জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্যের। বর্ধিষ্ণু এই গ্রামে ব্রাহ্মণ, তপশিলী, আদিবাসী এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন বাস করেন। এই গ্রামে দুটি সংসদে তৃণমূলের দখলে। এই গ্রাম থেকে তৃণমূল প্রধান। দুটি সংসদের মধ্যে মুসলিম ও ব্রাহ্মণ অধ্যুষিত একটি সংসদে চারটি ভোটে বিজেপি জয়ী। আরেকটি সংসদে বিজেপির কাছে তিনশো ভোটে পরাজিত তৃণমূল। এই গ্রাম সরকারের প্রাকল্পিক সুবিধা সব থেকে বেশি পেয়েছে।
1) তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের আনুকূল্যে দক্ষিণ কালি মন্দিরে আটচালা সহ সৌন্দর্যায়ন হয়েছে।
2) গ্যালারী সহ একটি খেলার স্টেডিয়াম হয়েছে।
3) আধুনিক মুখাগ্নিতলা হয়েছে।
4) পথবাতি, রাস্তাঘাট, পানীয় জল হয়েছে।
5) সাংস্কৃতিক মঞ্চের জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।
6) বড়শাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিল্ডিং করে দেওয়া হয়েছে।
7) বড়শাল উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সব থেকে বেশি টাকা দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ শতাব্দী রায়। কী নেই সেখানে? মিনি ইণ্ডোর স্টেডিয়াম থেকে সব কিছু।
এখানেই প্রশ্ন, তাহলে যেখানে গ্রামাঞ্চলের প্রায় সব জায়গাই সাধারণ মানুষ তৃণমূলের পাশে। সেখানে জেলা নেতার গ্রামে তৃণমূল দুটি সংসদে বিজেপির কাছে তৃণমূল পরাজিত হলো কেন? যেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রামে দু'দুটো তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রার্থী জয়ী। ত্রিস্তরেই মানুষ উজার করে ভোট দিয়েছে। গ্রামেরই বাসিন্দা পঞ্চায়েত প্রধান। কী এমন ঘটলো লোকসভায়?
এখানে প্রশ্ন তাহলে এই গ্রামে বা এই অঞ্চলে বিজেপির সংগঠন কী খুবই মজবুত?
তার উত্তরে নিচুতলার কর্মীরা বলছেন, মোটেও না। এই গ্রামে মাত্র তিনটি বাড়ি বিজেপি করে। ব্যাতিক্রমী হলেও এই ফলাফল নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।