Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

গাজায় পোলিও মহামারি ঘোষণা, যুদ্ধবিরতির ডাক


ইমামা খাতুন   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৩:২২ পিএম

গাজায় পোলিও মহামারি  ঘোষণা, যুদ্ধবিরতির ডাক

গাজা, ৩০ জুলাই: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজাজুড়ে পোলিও মহামারি ঘোষণা করেছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ভয়াবহ এই ভাইরাসের বিস্তারের জন্য ইসরাইলের আক্রমণকে দায়ী করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় পোলিও টিকা পৌঁছাতে দ্রুত যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, গাজা ও প্রতিবেশী দেশগুলোর বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ এই পরিস্থিতি।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, গাজায় ছড়িয়ে পড়া এই মহামারি বিশ্বব্যাপী পোলিও নির্মূল কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, খাবার পানি ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির অভাব, ক্ষতিগ্রস্ত পয়ঃনিষ্কাশন নেটওয়ার্ক এবং টনকে টন ময়লা অপসারণের জন্য ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এমনটা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক চলতি মাসের শুরুতে কম্পোনেন্ট পোলিওভাইরাস টাইপ ২ শনাক্তের ঘোষণা করেছিল। ভাইরাসটি গাজার বিভিন্ন নর্দমায় পাওয়া গেছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, গাজায় ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা। উপত্যকাটিতে পোলিও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উচ্চ ঝুঁকির আশঙ্কার কথাও জানায় সংস্থাটি। এরপর গাজায় ১০ লক্ষেরও বেশি পোলিও টিকা পাঠানোর ঘোষণা করে হু। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে যথাযথভাবে টিকা কর্মসূচি পরিচালনা সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, পোলিও মাইলাইটিস নামের ভাইরাসটি প্রধানত মল-মুখের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস যা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করতে পারে এবং পক্ষাঘাত ঘটাতে পারে। ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৯৯ শতাংশ পোলিও হ্রাস পেয়েছে।

গণটিকা প্রদান, প্রচার এবং বিশ্বব্যাপী তা নির্মূল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকায় এটি সম্ভব হয়েছে। সাধারণত পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা সবচেয়ে বেশি পোলিওর ঝুঁকিতে থাকে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আরোগ্য লাভের সুযোগ নেই। আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলি হল, জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং সর্বশেষে পক্ষাঘাত বা পঙ্গুত্ব।