Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

সুপ্রিম ধাক্কা নীতিশ সরকারের, সংরক্ষণ মামলায় হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখল শীর্ষ আদালত


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:০২ এএম

সুপ্রিম ধাক্কা নীতিশ সরকারের, সংরক্ষণ মামলায় হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

নয়াদিল্লি, ২৯ জুলাই: বিহারে শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ কোটার নিয়ম বাতিল করে দেওয়া পাটনা হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। গত জুনে বিহারে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে জাতভিত্তিক কোটা বৃদ্ধির উদ্যোগ খারিজ করে দিয়েছিল পাটনা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিহার সরকার। সোমবার শুনানিতে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের উপর কোনো স্থগিতাদেশ দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে বিহারের সংরক্ষণ আইন বাতিলের সিদ্ধান্তই বহাল থাকলো।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে জাতিভিত্তিক জনসুমারির রিপোর্টের পর বিহারের বিধানসভায় বিল পেশ করে সরকারি শিক্ষাক্ষেত্র ও চাকরিতে সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা হয়। বিহার বিধানসভায় ওই বিল পাস করানোর সময় নীতিশ কুমার ছিলেন বিহারের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। নভেম্বরের শুরুর দিকে বিহার বিধানসভায় জাতগণনার দ্বিতীয় রিপোর্ট পেশের পরেই তৎকালীন জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেস মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে কোটা বাড়ানোর বিল পেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ বিধানসভার অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেছিলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অধিকার দিতে তার সরকার বদ্ধপরিকর।

সরকারের সংরক্ষণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে গত জুনে পাটনা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় বিহার সরকারের এই সংরক্ষণের নিয়ম খারিজ করে দেয় আদালত। পাটনা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ‘সংরক্ষণের জন্য মেধাকে সম্পূর্ণভাবে বিসর্জন দেয়া যায় না। রাজ্যে সরকারি কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব যথেষ্ট রয়েছে।’
আদালত আরও জানায়, সরকার সুপ্রিম কোর্টের ১৯৯২ সালের ইন্দিরা সহানির রায় মানেনি, যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছিল যেকোনো রাজ্যেই সংরক্ষণ ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারে না। পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিনোদ চন্দ্রনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানান, বিহারে জাতভিত্তিক কোটা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা যাবে না।