Sat, June 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

স্পর্ধা তো কম নয়! ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ওবিসি তালিকা বাতিলের রায় মানি না


Puber Kalom   প্রকাশিত:  ২৯ জুন, ২০২৪, ০৪:১২ পিএম

স্পর্ধা তো কম নয়! ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ওবিসি তালিকা বাতিলের রায় মানি না

 

 

 

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্য নির্বাচনী জনসভা থেকে এই ইস্যুতে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বুধবার খড়ায় দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে এক জনসভা থেকে আদালতের বিরুদ্ধে মুসলিমদের বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ করেন তিনি। ঘোষণা করেন, আদালতের নির্দেশের পরেও জারি থাকবে ওবিসি সংরক্ষণ।

লোকসভা ভোটের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই রায়কেও মানেন না বলে জানিয়েছিলেন মমতা। তাঁর আদালত সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য কলকাতা হাইকোর্টেই আদালত অবমাননার মামলাও হয়েছে। কিন্তু সেসবে গুরুত্ব তিনি দেননি। এখন ওবিসি সংরক্ষণের ইস্যুতে হাইকোর্টের রায় নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিন মমতা দৃশ্যত ছিলেন ক্ষুব্ধ। আদালতের রায় মানি না বলে ঘোষণা করার পাশাপাশি একাংশের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে সরব হন  তিনি। বলেন, "আজকেও শুনেছি একজন জাজকে দিয়ে, যিনি ভদ্রলোক জাজ বলে যাঁকে আমি সম্মান করি। অনেক ব্যাপারে বিখ্যাত। কাজ নেই কর্ম নেই... কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী বলে বেড়াচ্ছেন না সংখ্যালঘুরা তফশিলিদের সংরক্ষণ কেড়ে নেবে। তাহলে সংবিধান ভেঙে দিতে হয়। সংখ্যালঘুরা কখনও তফশিলি বা আদিবাসীদের সংরক্ষণে হাত দেবে না।"

ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, "বদমাইশ লোকেরা কাজ করায় এজেন্সিকে দিয়ে। কাকে দিয়ে একটা অর্ডার করিয়েছে। যদিও তার রায় আমি মানি না। কারণ ২৬ হাজার শিক্ষককে যখন বাতিল করেছিল বিজেপি আমি বলেছিলাম ওদের রায় আমরা মানি না। তেমনি বলছি আজকে, যে রায় দিয়েছে আজকে, যেই দিয়ে থাকুন, নাম বলব না। জাজমেন্ট নিয়ে বলা যায়। বিজেপির রায় আমরা এটা মানব না। ওবিসি সংরক্ষণ চলছে, চলবে।"

এ দিন আদালতের এই রায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সাহস কত বড়। কোর্টে কখনও ভাগাভাগি হয় না। দেশে কখনও ভাগাভাগি হয় না। কেউ বলতে পারে আমি হিন্দুকে বাদ দিয়ে দিলাম? মুসলমানকে রাখলাম? বা মুসলিমকে বাদ দিলাম, হিন্দুকে রাখলাম? আরে, এরা জানে? হিন্দু বলতে ওখানে কারা আছে। আমি করিনি এটা। উপেন বিশ্বাস তখন চেয়ারম্যান ছিলেন। বাড়ি বাড়ি সার্ভে করে করে আমরা ওবিসি সংরক্ষণ করেছিলাম। ১২ সাল থেকে চলছে। কোর্টে আগেও কেস হয়েছিল। কেস খালি হয়ে গেছিল। স্পর্ধা তো কম নয়! একটা সরকার কী পলিসি নেবে তা নিয়ে…. যাও না, বিজেপির একটা পলিসি নিয়ে কথা বলার হিম্মত আছে না সাহস আছে। কিছু দালাল, হঠাৎ করে ২৬ হাজার চাকরি খেয়ে নেও। ওবিসিদের সংরক্ষণ বন্ধ করে দাও। হবে না। তাও ভাগ করে দিয়েছে, মুসলিমদেরটা একেবারে বাদ। কেন? মুসলিমরা আমার দেশের নাগরিক নয়? এটা মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে। বিধানসভায় পাশ হয়েছে। কোর্টের রায়ও আছে। যারা ভোটের আগে এই সব নিয়ে খেলা করছেন, সন্দেশখালি নিয়ে করলেন চক্রান্ত করল ফাঁস হয়ে গেল।"

 

উল্লেখ্য, বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট এক রায়ে তৃণমূল জামানায় তৈরি সমস্ত ওবিসি তালিকা বাতিল বলে ঘোষণা করেছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের ফলে বাতিল হয়ে যাবে বাতিল ৫ লক্ষ সার্টিফিকেট। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আদালতের রায় কোন প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।