Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

‘মধ্যপ্রাচ্য নীতি’ নিয়ে সরগরম মার্কিন রাজনীতি...ট্রাম্প না কমলা, কার পাল্লা ভারি?


ইমামা খাতুন   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:০৩ পিএম

‘মধ্যপ্রাচ্য নীতি’ নিয়ে সরগরম মার্কিন রাজনীতি...ট্রাম্প না কমলা,  কার পাল্লা ভারি?

বিশেষ প্রতিবেদন: রাতারাতি বদলে গেছে মার্কিন রাজনীতির প্রেক্ষাপট। এক সপ্তাহ আগেও যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ ধরে নিয়েছিলেন আগামী নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঠেকানোর কোনও পথ নেই। কারণ ৮১ বছরের বৃদ্ধ জো বাইডেনের পক্ষে ট্রাম্পের সঙ্গে পেরে ওঠা সম্ভব হচ্ছিল না। নির্বাচনী লড়াই থেকে বাইডেন সরে যাওয়ার পর অবস্থা পুরোপুরি বদলে যায়। এখন প্রায় নিশ্চিত যে, হোয়াইট হাউস দখলের আসল লড়াই হবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে পালটাপালটি মন্তব্যের লড়াই জমে উঠেছে। সেই সঙ্গে ছুটছে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। দুই প্রার্থীরই কথার লড়াই চলছে ‘মধ্যপ্রাচ্য’ নীতি ঘিরে। ট্রাম্প–নেতানিয়াহুর পুরোনো ঘনিষ্ঠতার মধ্যে কমলার বদলানো সুর মার্কিন ভোটারদের কতটা কাছে টানবে, তার ওপর নির্ভর করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভাগ্য। গাজায় ইসরাইলি হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। যেকোনও সময় আঞ্চলিক সংঘাত আরও বড় রূপ নিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি না জিতলে এর ফল ভালো হবে না।  অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস গাজা নিয়ে তাঁর সুর বদলেছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, গাজা বিষয়ে তিনি চুপ থাকবেন না। তবে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মার্কিন ভোটাররা এ বিষয়ে কমলার কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করেন।  জনপ্রিয়তায় শুরু থেকেই বাইডেনের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। তবে এখন ট্রাম্পের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন কমলা। নির্বাচনের এখনও ১০০ দিনেরও বেশি সময় রয়েছে। জনমত ঘুরিয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য এটা কমলার জন্য যথেষ্ট। তবে সে সামর্থ্য কমলার আছে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন। আগের বারের মতো এবারও ট্রাম্পের প্রধান স্লোগান, ‘মেইক আমেরিকা গ্রেইট এগেইন’। এই স্লোগানের কারণে ট্রাম্পের একটা বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। তবে এই গোষ্ঠীর বাইরে তার জনপ্রিয়তা অনেকটাই কম। কমলা হ্যারিসকে জিততে হলে তার প্রধান কাজ হল এই নির্বাচনকে গণভোট করে তোলা। কমলাকে যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জয় পেতে হয়, তাহলে অবশ্যই ভোটারদের বোঝাতে হবে যে তিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সমান যোগ্য। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেন যে প্রচারাভিযান শুরু করেছিলেন, তার সবই বেকার হয়ে গেছে। কারণ বাইডেনের দুর্বলতা ও অযোগ্যতা সবার সামনে প্রকাশ পেয়েছে। তাই এখন নির্বাচনের যে ক’দিন আছে তার মধ্যেই কমলাকে তাঁর পরিচয় তৈরি করতে হবে। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক খবর যে, ট্রাম্পের কাছে এমন অনেক ব্যাপার রয়েছে যা কমলার ইমেজকে ধ্বংস করতে পারে। এখন কয়েকটি ইস্যু সামনে এনে হ্যারিসকে আক্রমণ করার পরিকল্পনা আঁটছে ট্রাম্প শিবির। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেনকমলা হ্যারিস। এক্সে তিনি সেই ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘আজ আমি মার্কিন রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলাম। প্রতিটি ভোটের জন্য আমি লড়াই করব। নভেম্বরে জনগনের ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসব।’ এর আগে কমলাকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামা। ৫ নভেম্বর আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হিসাবে যদি কমলা হ্যারিস নির্বাচিত হন তবে তিনি হবেন প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা যিনি এই গৌরব অর্জন করবেন।