Kibria Ansary প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই: রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠিত হল নীতি আয়োগের বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের ২৬ জন প্রতিনিধি। এদিনের বৈঠক অনুপস্থিত ছিল ১০টি রাজ্য। তাদের মধ্যে রয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, বিহার, দিল্লি, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং পুদুচেরি। এদিনের বৈঠক শেষে নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মধ্যাহ্নভোজের আগে বক্তব্য রাখতে দোওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। আমি শুধু তথ্য তুলে ধরছি, কোনো ব্যাখ্যা নেই। সাধারণত আমরা বর্ণানুক্রমিকভাবে সবাইকে বলার সুযোগ দিই। অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়ে শুরু করে তারপর অরুণাচল প্রদেশ এবং পরপর বাকি রাজ্যগুলোকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়। আমরা সামঞ্জস্য রেখে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে সুযোগ দিই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গুজরাটের ঠিক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেছিলেন। তখন তিনি তাঁর বক্তব্য দিয়েছেন।
নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে বেরোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে এসেছি।' সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, "প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সাত মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়। স্ক্রিনের উপরে কেবল একটি ঘড়ি থাকে সময় সম্পর্কে সচেতন করে। এটা বোঝানোর জন্য যে আর কত সময় বাকি রয়েছে। সুতরাং এটি সাত থেকে ছয় থেকে পাঁচ থেকে চার থেকে তিন পর্যন্ত যায়। শেষে শূন্য দেখায়। আর কিছু না। এছাড়া আর কিছু ঘটেনি।"
তিনি আরও বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন এবং আমরা শ্রদ্ধার সাথে পয়েন্ট শুনেছি। তিনি যেগুলো বলেছেন তা নোট করেছি। শুধু এটুকু বলতে পারি, মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পর মুখ্যসচিব উপস্থিত ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে গেছেন কারণ তাঁর কলকাতার ফ্লাইট ছিল।