Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

হার্মাদ বাহিনীর নৃশংস গণহত‍্যার স্মরণে সূচপুর শহিদ দিবস পালন নানুরে


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:৫৩ এএম

হার্মাদ বাহিনীর নৃশংস গণহত‍্যার স্মরণে সূচপুর শহিদ দিবস পালন নানুরে

 

দেবশ্রী মজুমদার, নানুর: ঠিক চব্বিশ বছর আগে ভূমিহীন ক্ষেত মজুরদের নৃশংস গণহত‍্যার ঘটনা ঘটেছিল নানুরে। এই সাতাশে  জুলাই দশ জন সংখ‍্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ সহ মোট এগারো জনকে নৃশংসভাবে  কুপিয়ে খুন করে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী। সেই নৃশংসতার শিকার হন সেখ নিজাম, রসুল বক্স, সেখ সবুর, সেখ সালামত, সেখ হারাই, সরণ মেটে,  সেখ সফিকুল, সেখ শফিক, সেখ আশরাফ, সেখ সাইফুর ও সেখ আলি হোসেন।  

২০০০ সালে ১১ জনকে হত্যার পরই সোজা দিল্লি থেকে নানুরে ছুটে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  বেশ কয়েক বার এই দিনে নানুরে এসে শহিদ-তর্পণ করেন তিনি।  

এদিন নানুরের বাসা পাড়ায় শহিদ বেদীতে মাল‍্যদানের মধ‍্য দিয়ে পালিত হলো নানুর শহীদ দিবস। এদিন উপস্থিত ছিলেন  সিউড়ি বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, লাভপুর বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, কোর কমিটির সদস‍্য সুদীপ্ত ঘোষ, কেতুগ্রাম বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ, নানুর বিধায়ক বিধান মাঝি এবং জেলা সভাধিপতি কাজল সেখ সহ অন‍্যান‍্য সদস‍্যরা। প্রায় কয়েক হাজার মানুষ হাজির ছিলেন বাসা পাড়ার এই শহীদ সভায়। 

সভায় সিপিএম হার্মাদ প্রসঙ্গে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, সেদিনের ঘটনা আজও মনে পড়ে।  মানুষের উপরে নৃশংস অত‍্যাচার  অত‍্যাচারের ঘটনা মনে করলে আজও শিউরে ওঠে মানুষ।

কেষ্টদা দিদি মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়কে ফোনে সমস্ত কিছু জানানোর পর দিদি এবং তদানীন্তন নেতা জয়ন্ত ভট্টাচার্য হাসপাতালে ছুটে আসেন। সেদিনের আন্দোলনে নানুর ব্লকের দায়িত্বে ছিলেন শেখ শাহনাওয়াজ, সোনা চৌধুরী, খালেক। সোনা চৌধুরী নেই। খালেক সাক্ষী ছিল। আজকে সেই শহিদ দিবসে আমরা শহিদের আত্মার শান্তির জন‍্য জমায়েত হয়েছি। 

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২৭ জুলাইয়ে নানুরের সূচপুরের ১১টি পরিবারের সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। সেই ঘটনার প্রধান সাক্ষী ছিলেন তৃণমূল সমর্থক আব্দুল খালেক।

২০০০ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহত পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই কথা মত নিহত ১১টি পরিবারের মধ্যে প্রায় সকল পরিবার সদস‍্য সরকারি চাকরি পেয়েছেন।