Sat, September 28, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

মমতার মাইক বন্ধের অভিযোগ ওড়াল কেন্দ্র, 'সত্য বলা উচিত' খোঁচা নির্মলার


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:৫১ এএম

মমতার মাইক বন্ধের অভিযোগ ওড়াল কেন্দ্র, 'সত্য বলা উচিত' খোঁচা নির্মলার

নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই: রাষ্ট্রপতি ভবনে নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে বেরোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে এসেছি।' এবার মুখ্যমন্ত্রীর মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওড়াল মোদি সরকার। কেন্দ্রের তরফে সাফাই দিয়ে জানানো হয়, কেন্দ্রের তরফে সাফাই দিয়ে আরও জানানো হয়, কোনও বেল বাজানো হয়নি। ঘড়ি দেখিয়ে জানানো হয়েছিল সময় শেষ। মধ্যাহ্নভোজ শেষ হওয়ার পর ফের বলার সুযোগ পেতেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াক আউট করেন।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। আমরা সবাই ওঁর কথা শুনেছি। প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময় প্রতিটি টেবিলের সামনে রাখা স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছিল। উনি মিডিয়ায় বলেছেন যে ওঁর মাইক অফ করে দেওয়া হয়েছিল। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে তাঁর মাইক অফ করে দেওয়া হয়েছিল। মিথ্যার উপরে কাহিনি তৈরি না করে, ওঁর উচিত সত্য বলা।”

এদিকে, নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাকে পাঁচ মিনিটের বেশি বলতে দেওয়া হয়নি। মাইক বন্ধ করে আমাকে অপমান করা হয়েছে। চন্দ্রবাবুকে ২০ মিনিট আর অসম ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের ১৫-২০ মিনিট বলতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাকে বলতে দেওয়া হল না। বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা। আর কোনওদিন নীতি আয়োগের বৈঠকে আসব না। এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আমি বৈঠক ছেড়ে চলে এসেছি।' মাইক বন্ধ করে দেওয়াকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই সরকারের কাছে আমি ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ সহ বিভিন্ন বঞ্চনার কথা তুলে ধরছিলাম। তখনই বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইক।

বিরোধীদের মধ্যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠক হাজির ছিলেন। বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সাতজন মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে এই বৈঠক বয়কট করেছে। মমতা বলেন, আমি এই বৈঠকে এসেছি, তাতে আপনাদের খুশি হওয়ার কথা। তার বদলে আপনারা আপনাদের দলকে অতিরিক্ত সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। এটা শুধু বাংলাকে অপমান করাই নয়, সমস্ত আঞ্চলিক দলের পক্ষে অপমান। এটা ঠিক নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সহযোগিতামূলক বৃহত্তর স্বার্থকে শক্তিশালী করতেই আমি এসেছিলাম। কিন্তু, ওরা বাজেটেও রাজনৈতিক পক্ষপাত করে গিয়েছে।

এদিন সরাসরি কেন্দ্রকে প্রশ্ন ছুড়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা কেন বিরোধীদের রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নীতি আয়োগের কোনও আর্থিক ক্ষমতা নেই। ফলে এটা কাজ করবে কী করে? হয় নীতি আয়োগকে আর্থিক ক্ষমতা দিন অথবা পরিকল্পনা কমিশনকে ফিরিয়ে আনুন।

 

 

 

◾◾◾◾◾◾◾◾

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওড়াল কেন্দ্র। নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে এ দিন ওয়াক আউট করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, বৈঠকে বক্তব্য শুরু করতেই তাঁর মাইক অফ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হল। কেন্দ্র জানাল, মুখ্যমন্ত্রীর মাইক অফ করা হয়নি। ঘড়ি দেখিয়ে জানানো হয়েছিল নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াক আউট এবং মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে শোরগোল পড়তেই, কেন্দ্রের তরফে সাফাই দিয়ে জানানো হয়, “মধ্যাহ্নভোজের পর বক্তব্য রাখার কথা ছিল। কিন্তু দিল্লি থেকে ফেরার তাড়া থাকায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুরোধে বৈঠকের সপ্তম স্পিকার করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।”

কেন্দ্রের তরফে সাফাই দিয়ে আরও জানানো হয়, কোনও বেল বাজানো হয়নি। ঘড়ি দেখিয়ে জানানো হয়েছিল সময় শেষ। মধ্যাহ্নভোজ শেষ হওয়ার পর ফের বলার সুযোগ পেতেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াক আউট করেন।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। আমরা সবাই ওঁর কথা শুনেছি। প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল বক্তব্য রাখার জন্য এবং নির্ধারিত সময় প্রতিটি টেবিলের সামনে রাখা স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছিল। উনি মিডিয়ায় বলেছেন যে ওঁর মাইক অফ করে দেওয়া হয়েছিল। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে তাঁর মাইক অফ করে দেওয়া হয়েছিল। মিথ্যার উপরে কাহিনি তৈরি না করে, ওঁর উচিত সত্য বলা।”