Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

কেনো বিল আটকে! কেন্দ্র ও রাজ্যপালকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের, তিন সপ্তাহে জবাব চাইলেন প্রধান বিচারপতি


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:১৬ এএম

কেনো বিল আটকে! কেন্দ্র ও রাজ্যপালকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের, তিন সপ্তাহে জবাব চাইলেন প্রধান বিচারপতি

নয়াদিল্লি, ২৬ জুলাই: অতীতে একাধিকবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে 'অসহযোগীতায়' অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গিয়েছে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মাসের পর মাস বিল আটকে রাখার অভিযোগ তুলে সুপ্রিমকোর্টের দারস্থ হয়েছে কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রাখাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করে বাম ও তৃণমূল শাসিত রাজ্য দুটি। শুক্রবার সেই মামলায় কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যপালকে নোটিশ জারি করল সুপ্রিমকোর্ট।

সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র এবং কেরল ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে নোটিশ পাঠিয়েছে। তিন সপ্তাহে মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, "তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দাখিল করতে হবে এবং রাজ্যগুলির কাছ থেকে একটি যৌথ নোটও জমা দিতে হবে।"

এদিন কেরল রাজ্যের তরফে প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল তথা প্রবীণ আইনজীবী কে কে বেণুগোপাল শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেন, আদালতের উচিত রাজ্যপালদের নির্দেশ দেওয়া যে, তারা কখন বিলে সম্মতি দিতে বা অস্বীকার করতে পারে। এছাড়াও কখন তারা রাষ্ট্রপতির কাছে বিল রেফার করতে পারে। এবিষয়ে আদালতের গাইডলাইন তৈরি করা দরকার।

শীর্ষ আদালতকে বলেন প্রবীণ আইনজীবী বলেন, "রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলগুলিতে সম্মতি দেওয়া বা আটকে রাখার ক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতা কতটা, তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন গভর্নরের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। বর্তমান কেরলের ক্ষেত্রে আটটি বিলের মধ্যে দু'টি ২৩ মাস ও একটি ১৫ মাস ধরে আটকে রাখা হয়েছে। অন্যগুলি ১০ মাস ধরে আটকে রেখেছে। এটি রাজ্যের জন্য খুবই দুঃখজনক। রাজ্যপাল যেভাবে বিল আটকে রাখছে তা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী।"

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিনিয়র অ্যাডভোকেট অভিষেক মনু সিংভি বলেন, যখন বিল আটকে রাখার বিষয়ে আদালতে মামলা হয়। তখনই কিছু বিল পাশ করে দেওয়া হয়। তামিলনাড়ু রাজ্যের মামলার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।