Tue, September 17, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

পরকীয়ায় বাঁধা, স্ত্রীকে খুন করতে সুপারি কিলার আনল স্বামী


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:৩৩ এএম

পরকীয়ায় বাঁধা, স্ত্রীকে খুন করতে সুপারি কিলার আনল স্বামী

 

 

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : পরকীয়ায় বাঁধা পেয়ে বারুইপুরে  এবার নিজের স্ত্রীকে খুনের উদ্দেশে সালিশি সভায় ভাড়াটে খুনি আনলো স্বামী। অভিযুক্ত স্বামীর নাম নুর হোসেন ফকির। বাড়ি জীবনতলা থানা এলাকায়। আড়াই বছর আগে সন্তোষপুর এলাকার বাসিন্দা আসমান বিবির সাথে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় নুর হোসেন ফকিরের।অন্যসম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বামী।এ নিয়ে স্ত্রী প্রতিবাদ করতেই শুরু হয় তাদের  সাংসারিক অশান্তি। গ্রামে ডাকা হয় সালিশি সভা। সেখানে ভাড়াটে খুনি এনে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার বেলেগাছি এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামী এবং ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেল,ওই অভিযুক্তের নাম নুর হোসেন ফকির। তাঁর বাড়ি জীবনতলা থানা এলাকায়। আড়াই বছর আগে সন্তোষপুর এলাকার বাসিন্দা আসমানের সঙ্গে বিয়ে হয় নুরের।ওই দম্পতির একটি  শিশু সন্তান রয়েছে।অভিযোগ বিয়ের পরে একটি পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই যুবক। যা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় তাঁর। প্রতিবেশীরা জানান, প্রায় প্রতি দিনই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো।

আসমানের দাবি, বেশ কিছু দিন ধরে স্বামী তাঁর কোনও দেখাশোনা করতেন না।তিনি বলেন,আমার খাওয়া-পরার টাকাও দিত না। উল্টে কিছু বললেই মারধর করতো আমায়।এ নিয়ে গ্রামের লোকজনের কাছে জানিয়ে ছিলেন ওই মহিলা। সমস্যার সমাধানে ওই মহিলার দাদুর বাড়ি বারুইপুর থানার বেলেগাছির নব পল্লিতে একটি সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে যান নুরও।

ওই সভায় উপস্থিত হন অজ্ঞাতপরিচয় এক জন। তাঁকে নিজের বন্ধু বলে সালিশি সভায় বসান নুর।ওই ব্যক্তিই আদতে ভাড়াটে খুনি বলে অভিযোগ। আসমানের বাপের বাড়ির অভিযোগ,বন্ধুর পরিচয় দিয়ে সালিশি সভায় ‘সুপারি কিলার’ ডেকে নিয়ে এসেছিল আসমানের স্বামী নুর। ওকে খুনের চক্রান্ত করছিল।ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

আসমানের অভিযোগ,ওই ব্যক্তি কে ভাড়া করে নিয়ে এসে ছিলেন স্বামী। লক্ষ্য ছিল, তাঁকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া। খবর পেয়ে সাহিলকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মিলেছে।আর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় নুরকে ও। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আসমানের দাদুর বাড়ির পিছনের দিকে একটি পুকুর থেকে গুলি ভর্তি একটি বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। সব মিলিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ।

দু’জনকে গ্রেফতারের পর জেরা করছে বারুইপুর থানার পুলিশ।এ বিষয়ে বুধবার বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে বারুইপুর থানার পুলিশ।সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।