Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

সংখ্যালঘু খাতে বরাদ্দ ৩১৮৩ কোটি টাকা, মোট বাজেটের মাত্র ০.০৬৬ শতাংশ


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম

সংখ্যালঘু খাতে বরাদ্দ ৩১৮৩ কোটি টাকা,  মোট বাজেটের মাত্র ০.০৬৬ শতাংশ

 

 

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  সংখ্যালঘু বাজেট নিয়ে উদাসীনতা চরমে। বছর দু’য়েক আগেও যেখানে সংখ্যালঘু বাজেট ছিল প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা, সেখানে এ বছর ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য সংখ্যালঘু বাজেট মাত্র ৩১৮৩.২৪ কোটি টাকা। এ বছর মোট ৪৮ লক্ষ ২০ হাজার ৫১২ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মোট বাজেটের তুলনায় সংখ্যালঘু খাতে বরাদ্দ মাত্র ০.০৬৬ শতাংশ।

ভারতের সংখ্যালঘুদের মধ্যে মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ ও পারসিরা অন্তর্ভুক্ত। তাদের শিক্ষা ও উন্নয়নে মাত্র ৩১৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। গতবছর ৩০৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র সরকার। এবার অবশ্য পাটিগণিতের নিরিখে তা সামান্য বেড়েছে। কিন্তু এই বিষয়টি মনে রাখা দরকার যে পশ্চিমবঙ্গের মতো একটি রাজ্যেরই সংখ্যালঘু বাজেট ৫ হাজার কোটি টাকা। সংখ্যালঘুদের জন্য একটি রাজ্যের চেয়েও কম বাজেট বরাদ্দ করছে কেন্দ্র!

এবার নির্বাচনী প্রচারের সময় নরেন্দ্র মোদি যেভাবে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন, তাতে তার সরকার যে বাজেটে তেমন কিছু উল্লেখযোগ্য ঘোষণা দেবে না তা জানাই ছিল।

এর আগে মোদি সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য উচ্চশিক্ষার বৃত্তি বন্ধ করে দিয়েছে। মাওলানা আজাদ ফেলোশিপ দেওয়া হত গবেষকদের। সেটা বন্ধ করে দেওয়ায় বহু সংখ্যালঘু পড়ুয়া উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। 

প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপে বরাদ্দ ছিল ৪৩৩ কোটি টাকা। এবার তা কমে হয়েছে ৩২৬ কোটি টাকা। এবার পোস্ট ম্যাট্রিক বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে মাত্র ৮০ কোটি টাকা। কোচিং স্কিমে কমেছে ৪০ কোটি টাকা, আজাদ ফেলোশিপে বরাদ্দ কমেছে ৫০.৯২ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, মাওলানা আজাদ ফেলোশিপ বন্ধ করে দেওয়ায় নতুন করে কেউ আর আবেদন করতে পারছেন না। তবে যাদের ফেলোশিপ আগে থেকেই চালু ছিল, তারা টাকা পাবেন নির্দিষ্ট দু-এক বছর। 

কওমি ওয়াকফ বোর্ড তরক্কিয়াত প্রকল্পেও ১ কোটি টাকা বরাদ্দ কমেছে নির্মলার বাজেটে। স্কিল ডেভেলপমেন্ট, সংখ্যালঘু নারীদের উন্নয়ন, নয়ি মঞ্জিল স্কিম, উস্তাদ স্কিম, ন্যাশনাল মাইনোরিটি ফিনান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনে কোনও বরাদ্দের উল্লেখ নেই বাজেটে। সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাইনোরিটি সংগঠনগুলি।

প্রধানমন্ত্রী ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর কথা বলেন। কিন্তু সংখ্যালঘুদের বাজেটে বরাদ্দ নিয়ে বঞ্চনা স্পষ্ট। বিষয়টিকে অত্যন্ত হতাশাজনক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন জামাআতে ইসলামি হিন্দের নেতৃত্ব। তাদের মত, বাজেট দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে সরকার চায় না মাইনোরিটিরা এগিয়ে যাক।

জনসংখ্যার নিরিখে ১ লক্ষ কোটি টাকার সংখ্যালঘু বাজেট বরাদ্দ হলে তবে সেটা যুক্তিযুক্ত হত বলে তারা জানান। এ দিকে বর্তমান কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, যারা এই বাজেটের সমালোচনা করবে তারা নির্বোধ ছাড়া কিছু নয়!