Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

সিভিল সার্ভিসে 'কোটা'র কি দরকার! পূজা বির্তকে প্রশ্ন তুললেন স্মিতা, তীব্র সমালোচনা


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:০৯ এএম

সিভিল সার্ভিসে 'কোটা'র কি দরকার! পূজা বির্তকে প্রশ্ন তুললেন স্মিতা, তীব্র সমালোচনা

চেন্নাই, ২২ জুলাই: প্রবেশনারি আইএএস অফিসার পূজা খেদকরের জাল প্রতিবন্ধী ও ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে দেশজুড়ে বির্তক তৈরি হয়। সেই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন সিনিয়র আইএএস অফিসার স্মিতা সাভারওয়াল। সিভিল সার্ভিসে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য কোটার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তেলেঙ্গানা ফিনান্স কমিশনের সদস্য-সচিব স্মিতা। তিনি বলেন, গ্রাউন্ডে কাজ করার জন্য চাকরির দাবি প্রতিবন্ধীদের কঠিন করে তোলে।

বিশেষভাবে সক্ষমদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার এক্স বার্তায় স্মিতা সাভারওয়াল লেখেন, "একটি বিমান সংস্থা কি প্রতিবন্ধী পাইলট নিয়োগ করবে? বা আপনি কি একজন প্রতিবন্ধী সার্জনকে বিশ্বাস করবেন। ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের (AIS) আইএএস, আইপিএস ও আইএফওএস অফিসাদের প্রকৃতি কাজ হল ফিল্ড-ওয়ার্ক। মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য প্রয়োজন শারীরিক সুস্থতা।" একইসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় কোটা সিস্টেম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তেলেঙ্গানার দুদে আমলা বলেছেন, "কেন এই স্বনামধন্য সার্ভিসে 'কোটা'কে প্রাধান্য দেওয়া হবে, এর দরকার কি?"

সামাজিক মাধ্যমে এই পোস্ট করার পরই নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়েন আইএএস স্মিতা সাভারওয়াল। তাঁর এই মন্তব্যকে 'অজ্ঞতা' বলে কটাক্ষ করেছেন অনেকেই। শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, "এটি একটি নিম্ন রুচির দৃষ্টিভঙ্গি। আমলারা কীভাবে তাদের সীমিত চিন্তাভাবনার প্রকাশ করছে এবং তাদের সুযোগ-সুবিধাও দেখতে অবাক লাগে।"

এক্স পোস্টে তিনি আরও বলেন, "আমি আমলাদের ইডব্লুএস/নন ক্রিমি লেয়ার বা প্রতিবন্ধীদের মতো কোটার অপব্যবহার এবং সিস্টেমে নিয়ে সমালোচনা করতে দেখিনি। যেখানে বৈচিত্র্য এবং অন্যান্য সম্প্রদায়কে উৎসাহ দেয় এমন একটি সংরক্ষণ বাতিল করার বিষয়ে সমালোচনাও করতে দেখিনি। আমি জানি না আপনি এত বছর চাকরি করার পরও একথা কীভাবে বলছেন। যাই হোক, ধন্যবাদ।"

তেলেঙ্গানার আমলার মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, "অবাক হচ্ছি, একজন আইএএস অফিসার অক্ষমতা সম্পর্কে এতটা মৌলিকভাবে অজ্ঞ হন কিভাবে। বেশিরভাগ প্রতিবন্ধীদের স্ট্যামিনার উপর কোনও প্রভাব পড়ে না এবং বুদ্ধিমত্তাও। কিন্তু এই টুইট প্রমাণ করে যে জ্ঞান এবং বৈচিত্র্যের খুব প্রয়োজন।"

এনসিপিইডিপি-র ট্রাস্টি অরবিন্দ গুপ্তা বলেন, "আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হাজার হাজার উদ্ভাবনী প্রতিভা দেখতে পাই। যা নানাভাবে অনুপ্রেরণাদায়ক। ইউপিএসসিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আমলা হয়ে উঠছে এনসিপিইডিপি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল। আমরা সচেতনতার অভাবে প্রতিবন্ধীদের প্রতিদিন লড়াই করতে দেখি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ালে সমাজের মূলধারায় তারা অবদান রাখতে পারে। ২০ কোটি ভারতীয়কে উন্নত ভারতে অবদান রাখা থেকে বাদ না দিয়ে নিজেদের শিক্ষিত করার সময় এসেছে।"