Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

দোকানে নাম উল্লেখের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:০৬ এএম

দোকানে নাম উল্লেখের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি, ২২ জুলাই: কানোয়ার যাত্রার রুটের প্রত্যেক দোকানে উল্লেখ করতে হবে দোকান মালিকের নাম। উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এবার স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার কানোয়ার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

কানোয়ার যাত্রার রুটে যে সমস্ত খাবারের দোকান থাকবে সেই দোকানের মালিকের নাম লেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই নির্দেশে বলা হয়, রেস্তরাঁ, রাস্তার ধারে খাবার জায়গা, ফলের ভেন্ডার, চায়ের দোকান যেগুলি কানোয়ার যাত্রার পথে পড়বে সেখানে মালিকের নাম লিখতে হবে। হালাল সার্টিফিকেট যুক্ত কোনও সামগ্রী বিক্রির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এদিকে এই নির্দেশক ঘিরে বিজেপির অন্য সহযোগী শক্তি যেমন নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের লোকজনশক্তি এই নির্দেশ নিয়ে আপত্তি তোলে। বিজেপির সহযোগী শক্তি রাষ্ট্রীয় লোকদল ও ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এই নির্দেশকে ফের বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছে। আরএলডি প্রধান জয়ন্ত চৌধুরী উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এই নির্দেশটা পুনরায় বিবেচনা করার জন্য জানিয়েছেন। এবার দেশের শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেল যোগী সরকার।

এদিকে গতকাল যোগীর পথ অনুসরণ করে মুসলিম দোকানিদের টার্গেট করে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। রাজ্যের উজ্জয়িনী মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এলাকার দোকান মালিকদের দোকানের বাইরে তাদের নাম এবং মোবাইল নম্বর লেখার নির্দেশ দেয়। শনিবার উজ্জয়িনীর মেয়র মুকেশ তাতওয়াল জানিয়েছেন, এই নির্দেশিকায় নাম মানলে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হবে। একইভুল দ্বিতীয়বার হলে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। যদিও মেয়র দাবি করেছেন, নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশ আরোপ করা হয়েছে। মুসলিম দোকানদারদের টার্গেট জন্য নয়।

মেয়রের বক্তব্য, "উজ্জয়িনী একটি ধর্মীয় ও পবিত্র শহর। মানুষ এখানে ধর্মীয় আস্থা (বিশ্বাস) নিয়ে আসে। তারা যে দোকানদারের থেকে পরিষেবা নেবেন সে সম্পর্কে গ্রাহকের জানার অধিকার তাদের রয়েছে। যদি কোনও গ্রাহক অসন্তুষ্ট হন বা প্রতারিত হন, তবে দোকানদারের বিবরণ জানার ফলে তারা প্রতিকার চাইতে পারবেন।" রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেবলমাত্র মুসলিম ব্যবসায়ীদের লক্ষ্যবস্তু করতে।