আবুল খায়ের প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৪:০৫ এএম
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ফের প্রশ্নের মুখে রেল। গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ঘটে যাওয়া রেল দূর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। ছয় সদস্যের তদন্তকারীদলের এই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে যাত্রী নিরাপত্তায় অবহেলার ফলেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে।
চণ্ডীগড় থেকে অসমের ডিব্রুগড়গামী এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি গোন্ডায় লাইনচ্যুত হয়। প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, রেললাইনে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবই এই দুর্ঘটনার মূল কারণ। একই সঙ্গে, এই ধরনের লাইনে ট্রেনের যে গতিবেগ হওয়ার কথা তার থেকেও বেশি গতিবেগ ছিল ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের। এই প্রাথমিক রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, রেললাইনের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। সেই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে আলাদা করে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
রেলের লখনউ ডিভিশনের এক বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার দিন ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস ছুটেছিল ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে। অথচ ওই লাইনে কোনও দূরপাল্লার ট্রেনের প্রতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার বেগে যাওয়ার কথা। রেললাইন 'মজবুত' নয় বুঝেও ট্রেনটিকে পূর্ণ গতিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই রিপোর্ট পুরোপুরি মানতেই চায়নি। বরং তাঁদের বক্তব্য, প্রাথমিক স্তরের এই তদন্তে সব বিষয় যাচাই করা হয়ে ওঠে না। তাই এই রিপোর্ট যে একশো শতাংশ সঠিক হবে তার কোনও মানে নেই। কারণ তদন্তকারী দল হয়তো সবক'টি গুরুত্বপূর্ণ দিকে নজর দিতে পারেনি। এদিকে দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট এবং যাত্রীদের একাংশ। তাঁদেরও দাবি অবশ্য মানতে চায়নি পুলিশ।
গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পষ্ট কথা, ট্রেন দুর্ঘটনার আগে কোনও বিস্ফোরণই হয়নি। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলায় মোতিগঞ্জ-ঝিলাহি রেল স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। যার জেরে প্রাণ হারান ৪ জন।