Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ ইউরোপ-আমেরিকায়


ইমামা খাতুন   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:৩০ এএম

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি  জানিয়ে বিক্ষোভ ইউরোপ-আমেরিকায়

সিডনি, ১৯ জুলাই: কোটা-বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সেদেশের বহু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে এই বিক্ষোভ দমাতে শক্তি প্রয়োগ করছে সরকার। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজক শিক্ষার্থীদের ওপর কুখ্যাত আরএবি বাহিনী, সেনা ও পুলিশ দিয়ে হামলা করা হয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় দুই ডজন শিক্ষার্থী। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলিগ ও সরকারি বাহিনীর এমন বাছবিচারহীন হামলার কারণে আগুন জ্বলছে বাংলাদেশে।

ছাত্রদের ওপর হামলার খবর ইউরোপ ও আমেরিকাতে বিদ্যুত গতিতে প্রচার পেয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের কোটা-বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে মিছিল হয়েছে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ার, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও সিডনি, জার্মানি, কানাডা, হাঙ্গেরি এবং ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে।

এই দেশগুলিতে সক্রিয় বাংলাদেশি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর সরকারি বাহিনীর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র মারুফ খান সিডনিতে বিক্ষোভে যোগ দিয়ে বলেন, ‘সরকারি চাকরি একটি ভালো সুযোগ। ৬০০ থেকে ৭০০ সরকারি চাকরির পেছনে ৬ লক্ষ শিক্ষার্থী রয়েছে।

এর মধ্যে আবার রয়েছে ৫৬ শতাংশ কোটা।’  অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে কোটাবিরোধীদের পক্ষে সংহতি জানিয়ে সমাবেশ আয়োজন করে দ্য ইউনিভার্সিটি অব সিডনি, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস), ম্যাকুয়েরি বিশ্ববিদ্যালয়, জর্জ ব্রাউন, ইম্পেরিয়াল কলেজসহ বিভিন্ন কলেজ। এছাড়া জার্মানির মিউনিখে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পক্ষে সমাবেশ করেছে জার্মানিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলিগ ও পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ভেসে আসছে সব মহল থেকে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যৌক্তিক বলে মনে করেন কানাডার টরেন্টোতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

কোটা-বিরোধীদের সমর্থনে একটি সমাবেশের আয়োজন করেন এবং হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানান তারা। সূত্রের খবর,  প্রবল চাপের মুখে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকার রাজি হয়েছে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুলাহ  ফেসবুকে জানিয়েছেন, 'রক্ত মাড়িয়ে কোনও সংলাপ নয়।'

আন্দোলনের আরেক অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমও পৃথক স্ট্যাটাসে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘একদিকে গুলি আর লাশ, অন্যদিকে সংলাপ! আমার ভাইয়ের রক্তের ওপর দিয়ে কীভাবে সংলাপ হতে পারে?’ এছাড়া আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘গুলির সাথে কোনও সংলাপ হয় না। এই রক্তের সাথে বেইমানি করার থেকে আমার মৃত্যু শ্রেয়।’

এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল জানান, কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকার রাজি আছে। কোটা নিয়ে আদালতে যখন শুনানি হবে, তখন সরকারের পক্ষ থেকে একটা প্রস্তাব দেওয়া হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে।