Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

বিলকিস মামলাঃ জামিনের আর্জি খারিজ দুই অপরাধীর


ইমামা খাতুন   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম

বিলকিস মামলাঃ জামিনের আর্জি খারিজ দুই অপরাধীর


নয়াদিল্লি, ১৯ জুলাই: গুজরাত দাঙ্গার সময়ে বিলকিস বানুকে ধর্ষণ ও তার পরিবারের সদস্যদের খুন করার মামলায় দুই আসামির জামিনের আর্জি খারিজ হল সুপ্রিম কোর্টে। বিলকিস মামলার আসামিদের মুক্তি দিয়েছিল গুজরাত সরকার। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের আত্মসমর্পণ করে তারা। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ফের আবেদন করেছিল দুই আসামি। অন্তর্বর্তী জামিন চেয়েছিল তারা। সেই আর্জি খারিজ করেছে শীর্ষ কোর্ট। এদিন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানিয়ে দেন, তারা এ ধরনের আবেদন শুনতেই রাজি নয়। আইনের উপর থেকেই মানুষের  আস্থা উঠে যাবে যদি তাদেরকে জামিন দেওয়া হয়। ধর্ষক ও খুনি রাধেশ্যাম ভগবান দাস ও রাজুভাই বাবুলাল এই জামিনের আবেদন জানিয়েছিল। পাশাপাশি তাদের মামলা যাতে বড় কোনও বেঞ্চ শোনে, সেই আবেদনও করেছিল।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের স্বাধীনতা দিবসে তাদের সাজা মকুব করেছিল গুজরাত সরকার যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল দেশজুড়ে। ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালীন দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তার তিন বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে হত্যা করে হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। বিলকিসের পরিবারের আরও কয়েক জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই অপরাধকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ওই বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন এক জনের মৃত্যু হয়। ২০২২ সালে গুজরাত সরকার তাদের ছেড়ে দেয় ‘সংস্কারী ব্রাহ্মণ’ হওয়ায়! পরবর্তীতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিলকিস বানু গণধর্ষণ মামলায় অপরাধী ১১ জনের শাস্তি মকুবের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দোষীদের কারাগারে ফিরে যাওয়ার আদেশ দিয়েছিল গত বছর।

সাজা মকুবের সিদ্ধান্ত রদ করে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি গুজরাত সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন। পরোক্ষভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকেও এই ভর্ৎসনা আঘাত করে, কারণ সাজা মকুবের সুপারিশে কেন্দ্র তথা অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিলমোহর দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায় যে মহারাষ্ট্রের আদালতের বিচারে সাজাপ্রাপ্তদের শাস্তি মকুব করার এখতিয়ারই নেই গুজরাত সরকারের।