Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

পোশাক বিভ্রাট! পরনে ধুতি, 'শপিং মলে' ঢুকতে দেওয়া হল না বৃদ্ধ কৃষক সহ তাঁর ছেলেকে


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম

পোশাক বিভ্রাট! পরনে ধুতি, 'শপিং মলে' ঢুকতে দেওয়া হল না বৃদ্ধ কৃষক সহ তাঁর ছেলেকে

 

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পরনে ধুতি তাই ঢোকা যাবে না, ঝাঁ চকচকে শপিং মলে। ফের পোশাক বিভ্রাট, ঘিরে বিতর্ক। বেঙ্গালুরুর জিটি ওয়ার্ল্ড মল শপিং মলে এক বৃদ্ধ কৃষককে মলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা।

ঘটনার পারদ চড়তেই মাগাড়ি রোডের সুবিশাল শপিং মলটিতে সাতদিনের জন্য তালা ঝুলিয়ে দিল বৃহৎ বেঙ্গালুরু মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (বিবিএমপি)। তবে কর্পোরেশনের দাবি মল কর্তৃপক্ষ ১.৭৮ কোটি কর দেয়নি, তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিবিএমপি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ সালের কর ফাঁকি দিয়েছে ওই শপিং মল। মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি নোটিশও জারি করা হয়েছিল। তারপরও টাকা না দেওয়ায় মলটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী, বাইরাথি সুরেশ জানিয়েছেন আইন মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে ওই কৃষককে শপিং মলের মধ্যে ঢুকতে না দেওয়াই এই ঘটনার মূল কারণ। 

বৃহস্পতিবার কর্নাটক বিধানসভাতেই সাত দিনের জন্য মল বন্ধ রাখার কথা জানান সুরেশ। তার আগেই, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১২৬-এর ২ ধারা (ভুল সংশোধন) অনুযায়ী, একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল মলের মালিক এবং নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে বাবাকে সিনেমা দেখাতে ওই মলে নিয়ে এসেছিলেন তার ছেলে। বৃদ্ধ বাবা পেশায় কৃষক, নাম ফকিরাপ্পা। তিনি কর্নাটকের হাভেরি জেলার বাসিন্দা। তাঁর ছেলে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। ছেলের সঙ্গে দেখা করতে শহরে এসেছিলেন ফকিরাপ্পা। বৃদ্ধ বাবাকে শপিং মলের  সিনেমা দেখাতে চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে। কিন্তু, মলে ঢোকার সময় তাদের গেটে আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ফকিরাপ্পা এবং তাঁর ছেলের কাছে ফিল্ম দেখার টিকিট থাকা সত্ত্বেও, তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তা কর্মীদের কথায়, ধুতি পরে ওই মলে ঢোকা নিয়ম বিরুদ্ধ। অনুরোধ করার পরেও সেই কথা কানে তোলেননি নিরাপত্তারক্ষীরা। উলটে তারা ফকিরাপ্পাকে প্যান্ট পরে আসতে বলেন। এই ঘটনা ভাইরাল হতেই তাতে রাজনীতির রং লেগে গেছে।  ঘটনাটিতে কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা কংগ্রেসকে “কৃষক বিরোধী” বলে দেন। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীও যেখানে ধুতি পরেন, সেখানে একজন কৃষককে কেন মলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “কৃষককে কি মলে টাক্সিডো পরে আসতে হবে?” সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “তারা ডিজেলের দামও বাড়িয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এখন তারা ধুতি পরে প্রবেশ করতে বাধা দিয়ে কৃষকদের অপমান করছে। রাহুল বাবা কোথায়? এটা কি কৃষকদের সঙ্গে ন্যায়?” 

এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখা দেখায় কন্নড় ও কৃষক সংগঠনগুলিও। মল কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে তারা। পরে, মল কর্তৃপক্ষ ক্ষমাও চায়।