Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

কোটা বিরোধী আন্দোলন: পুলিশ-পড়ুয়া সংঘর্ষে দেশজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৪ এএম

কোটা বিরোধী আন্দোলন: পুলিশ-পড়ুয়া সংঘর্ষে দেশজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭

ঢাকা, ১৮ জুলাই: কোটা বিরোধী আন্দোলন তীব্র হচ্ছে বাংলাদেশজুড়ে। বিক্ষোভের আগুনে চলছে রাজধানী। দফায় দফায় পুলিশ-পড়ুয়া সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সংঘর্ষ চলার মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত আরও দু'জনের মৃতদেহ এসেছে। তাঁদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, একজন মৃতের নাম মোহাম্মদ। তাঁকে আজিমপুর থেকে আনা হয়েছে। অন্যজনের নাম নাজমুল। তাঁকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আনা হয়েছে। মোহাম্মদের শরীরে ছররা গুলির ক্ষত দেখা গেছে। নাজমুলের শরীরে রয়েছে কোপের আঘাত। ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নাজমুলের পরিবার উপস্থিত হয়েছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, নাজমুল ব্যবসায়ী। ঘটনার ঘণ্টা দুয়েক আগে তিনি বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। সংঘর্ষের মধ্যে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে নরসিংদীতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাহমিদ তামিম (১৫) ও মো. ইমন মিয়া (২২) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে ইমন এবং জেলা হাসপাতালে তাহমিদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে। চট্টগ্রাম নগরেও সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দার হাট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষের মধ্যে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের একজন পটিয়া সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র মোহাম্মদ ইমাদ (১৮)। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাঁর বয়স ২২ বছর। বিকেলে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ছয়জনকে নিয়ে আজ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ–যুবলীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। সংঘর্ষে নিহত চারজনের মরদেহ রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে রয়েছে। হাসপাতালটির পরিচালক মিজানুর রহমান বলেছেন, চারজনের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী। অপর দুজনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।