Kibria Ansary প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:২৫ এএম
ঢাকা, ১৮ জুলাই: কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশ-ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ। এবার পুলিশের গুলিতে নিহত হলেন ২ পড়ুয়া। এর মধ্যে উত্তরায় সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ পড়ুয়া। বাড্ডায় নিহত হয়েছেন একজন পথচারী। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয় রাজধানীর উত্তরায় বিএনএস সেন্টারের সামনে। এই দুই জায়গায় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কয়েক শো আন্দোলনকারী। পুলিশ-ছাত্র সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সিং সুপারভাইজার শাহিদা আক্তার দুই ছাত্রের নিহতের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে আরও কয়েকজন পড়ুয়া আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত দুই পড়ুয়ার মৃতদেহ হাসপাতালে রাখা রয়েছে। তবে, তাদের নাম জানা যায়নি এখনও। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে।
এদিন দফায় দফায় উত্তরায় বিএনএস সেন্টারের সামনে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। আন্দোলনকারীদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সকালে আন্দোলনকারীরা উত্তরার আজমপুর বাস স্ট্যান্ডের দিকে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে, বিএসএস সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। দলভারী করে আন্দোলনকারীরা বিএনএস সেন্টারের দিকে এগুতে থাকলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা উত্তরার জমজম টাওয়ার এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। জমজম টাওয়ার থেকে মিছিল নিয়ে বিমানবন্দর মহাসড়কের আজমপুরে এলে পুলিশ পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন। অপরদিকে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে পড়ুয়ারা। এদিকে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কাজলা ও শনির আখড়া, বাড্ডা, রামপুরা, মিরপুর-১০, প্রগতি সরণি এলাকায় কোটা সংষ্কার আন্দোলনে পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।