Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

IAS পূজার বাবাও ছিলেন দুর্নীতিগ্রস্থ, দুর্নীতি-অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দু'বার সাসপেন্ড হয়েছিলেন দিলীপ খেদকর


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:১৩ এএম

IAS পূজার বাবাও ছিলেন দুর্নীতিগ্রস্থ, দুর্নীতি-অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দু'বার সাসপেন্ড হয়েছিলেন দিলীপ খেদকর

মু্ম্বাই, ১৮ জুলাই: ক্ষমতার অপব্যবহার করে বির্তকের জন্ম দিয়েছেন শিক্ষানবিশ আইএএস অফিসার পূজা খেদকর। তারপরই তার মায়ের পিস্তল উচিয়ে দাদাগিরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এবার পূজার বাবা দিলীপ খেদকরের দুর্নীতির বিষয় প্রকাশ্যে এল। শিক্ষানবিশ আইএএস-এর বাবা মহারাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক দিলীপ খেদকর। পদে থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগে দু'বার সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে।

জানা গিয়েছে, ২০১৮ ও ২০২০ সালে দিলীপ খেদকরকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা নথিতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে অন্তত ৩০০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দিলীপ খেদকরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেছিলেন। ২০১৮ সালে, দিলীপ খেদকর যখন কোলাপুরের আঞ্চলিক আধিকারিক হিসাবে কাজ করছিলেন, তখন স্থানীয় করাতকল ও কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ব্যবসায়ীদের বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ পুনরুদ্ধার করতে ২৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দিলীপ খেদকর একবার বিনা অনুমতিতে ছয় থেকে সাত মাস অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন। ২০১৯ সালের একটি অভিযোগে দিলীপ খেদকরের বিরুদ্ধে একটি সংস্থার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

২০২০ সালের আদেশে বলা হয়েছে যে দিলীপ খেদকরকে মহারাষ্ট্র সিভিল সার্ভিস (আচরণ) বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। এছাড়াও, মহারাষ্ট্র জল (দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৮৩-এর অধীনে সাসপেন্ড করা হয়। এক আদেশে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এদিকে দিলীপ খেদকর ও তাঁর স্ত্রী মনোরমা খেদকরের পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দিলীপের সম্পত্তির আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বলে অভিযোগ ওঠার পর পুনের দুর্নীতি দমন ব্যুরোও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

দুর্নীতি দমন শাখার অভিযোগ, দিলীপ খেড়করের জমি, গাড়ি ও সংস্থার মালিকানা চিহ্নিত করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত আমলাকে তিন দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে তিনি এবং তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ এখন তাদের খুঁজছে।

অন্যদিকে, ওবিসি শংসাপত্রের জন্য আবেদন করতে গেলে আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষের কম হলে তবেই তিনি ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। এক আরটিআই কর্মী বিজয় কুম্ভর জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে দিলীপ খেদকরের জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যাচ্ছে যে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা। অথাৎ পূজা যে ওবিসি শংসাপত্র জমা দিয়েছেন তা অবৈধ।

আরটিআই কর্মী বিজয় কুম্ভর বলেন, "দিলীপ খেদকর তাঁর লোকসভা ভোটের হলফনামায় তাঁর আনুমানিক সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা এবং বার্ষিক আয় ৪৯ লক্ষ টাকা দেখিয়েছেন। এই তথ্য পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে।" এদিকে কেন্দ্র এখন পূজা খেদকরের আইএএস নির্বাচন নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং তার প্রশিক্ষণ স্থগিত রেখেছে।