Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

পিএম কেয়ার শিশু প্রকল্পের অর্ধেক আবেদন বাতিল


আবুল খায়ের   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম

পিএম কেয়ার শিশু প্রকল্পের অর্ধেক আবেদন বাতিল

 

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পিএম কেয়ার শিশু প্রকল্পে অর্ধেকের বেশি আবেদন বাতিল করোনা থাবায় পিতা মাতা হারিয়ে অনাথ হয়ে যাওয়া শিশুদের স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা এবং আর্থিক সহায়তার উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প চালু করা হয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, ৩৩টি রাজ্যের ৬১৩টি জেলায় ৯ হাজার ৩৩১ জন এই প্রকল্পে আবেদন করেছেন তবে এর মধ্যে ৩২টি রাজ্যের ৫৫৮ জেলার ৪ হাজার ৫৩২ জনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে বাকি ৪ হাজার ৭৮১ জনের আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ১৮ জনের আবেদন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় নি 

আবেদনকারীদের মধ্যে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশের আবেদনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সংখ্যাগুলি যথাক্রমে ১ হাজার ৫৩৩, ১ হাজার ৫১১ এবং ১ হাজার ৭ জন এরমধ্যে আবেদন মঞ্জুর হয়েছে মহারাষ্ট্রের ৮৫৫ জনের, রাজস্থানের ২১০ জনের এবং উত্তর প্রদেশের ৪৬৭ জনের তবে এতগুলি আবেদন কেন বাতিল করা হয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও সদুত্তোর দেওয়া হয়নি ২০২০ সালের ১১ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ৫ মে-এর মধ্যে কোভিডে অভিভাবকহীন শিশুদের জন্যই চালু করা হয়েছিল পিএম কেয়ার শিশু প্রকল্প কোভিড পর্বে ২০২১ সালের ২৯ মে শুরু করা হয়েছিল এই প্রকল্পটি

কোভিডে পিতামাতা-হারা প্রায় চার হাজার শিশু কিশোরের কাছে নিজে হাতে লেখা চিঠি পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, শিশুদের জন্য পিএম কেয়ার তহবিল থেকে যে বরাদ্দ করা হয়েছে, সেটা আমাদের আগামী প্রজন্মের সোনালি ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করবে তিনি লিখেছিলেন, 'এই প্রকল্প আপনাদের খোলামনে স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করবে তোমাদের স্বপ্নপূরণে সাহায্যের কোনও কমতি হবে না' পাশাপাশি তিনি বলেন, 'যতদিন মা বাবা ছিল, তাঁরাই তোমাদের বলে দিত কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ এখন তোমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে ওই শূন্যতা আর কেউ পূরণ করতে পারবে না কিন্তু, তোমাদের পরিবার হিসাবে আমি আশ্বস্ত করতে চাই, এই লড়াইয়ে তোমরা একা নও গোটা দেশ তোমাদের সঙ্গে আছে'

উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৩ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত আবেদনকারী শিশুদের তাদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব কেন্দ্রের পিএম কেয়ার তহবিল থেকে কোভিডে অনাথ শিশুদের বছরে ২০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয় ২৩ বছর বয়স পূর্ণ হলে এককালীন ১০ লক্ষ টাকাও দেওয়া হয় তাঁদের উচ্চশিক্ষার জন্য বছরে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত সাহায্যও করা হবে