ঢাকা: বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস দিনকয়েক আগেই বলেছিলেন, নির্বাচনের গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। সংস্কার শেষ হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তার দিনকয়েক পরেই নির্বাচন কমিশনের প্রধান ও সদস্যদের নাম ঘোষণা করল সরকার। বিভিন্ন অপপ্রচারের জবাব এই কাজ, মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইউনূস সরকার কথার চেয়ে কাজ দেখাতে চাইছেন বেশি। তবে নির্বাচন কবে হবে সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাখাওয়াত বলেছেন, ভোট হতে এখনও দেড় বছর দেরি। তবে সেই কথার যে কোনও ভিত্তি নেই তা বৃহস্পতিবার বিকেলেই বোঝা গেল। নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, মানুষ যাতে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাব। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে এদিন।
সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এই আন্দোলনের মূল বিষয়ই ছিল ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। এত মানুষের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা সম্ভব নয়। সে জন্য সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাব।’ তিনি মনে করেন, নির্বাচন কমিশনের জন্য বহুরকম চ্যালেঞ্জ থাকবে। সামনে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। সেটা বিবেচনায় রেখেই নতুন নির্বাচন কমিশন কাজ করবে। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে নানা রকম আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন বলেন, এ নিয়ে আগাম কিছু বলা যাবে না। কারণ, বিভিন্ন দল নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। ফলে সময় হলে বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে।