তেলআবিব: ১৪ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে দীর্ঘদিন ধরেই জোর প্রচেষ্টা চলছে। আমেরিকা, মিশর ও কাতারের নেতৃত্বে নতুন করে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ায় এ যুদ্ধ অবসানের একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু দেশগুলোর এ মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। মূলত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গায়ের জোরে যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার মনোভাব দেখানোর কারণেই এমনটা হয়েছে। এমন সময় নেতানিয়াহু আবারও বললেন, গাজা যুদ্ধ এখনই বন্ধ করতে চান না তিনি।
জেরুসালেমে এক প্রেস কনফারেন্সে নেতানিয়াহু বলেন, গাজায় যুদ্ধ এখনই থামাব না। যদি আমরা এখন যুদ্ধ শেষ করি, হামাস আবার ফিরে আসবে, পুনর্গঠিত হবে এবং আমাদের ওপর আক্রমণ করবে। এটি আমরা আর চাই না। নেতানিয়াহু আরও বলেন, তিনি হামাসের ধ্বংস নিশ্চিত করা, এর সামরিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা নির্মূল করার লক্ষ্য স্থির করেছেন। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো আক্রমণ না হয়। এই লক্ষ্য এখনো পূর্ণ হয়নি।
Read More: শান্তির বার্তা দিয়ে সিরিয়ায় হামলা ইসরাইল-আমেরিকার
গত শনিবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এ আলোচনায় নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েল হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করেছে। এর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মূল করেছে। এখন অতীতের যুদ্ধ বন্ধ করে, জিম্মি মুক্তি এবং যুদ্ধের পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর সময় এসেছে।
কিন্তু গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি বা বিরতির আশায় বারবার পানি ঢালছেন নেতানিয়াহু। গত রোববার গাজায় জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ ও হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ জিম্মিদের মুক্তির পথ সহজ করে দেবে। তবে, জিম্মিরা এখনো মুক্তি না পাওয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন স্বজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, নেতানিয়াহু এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছেন। তাঁকে জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি করার আহ্বান জানান তাঁরা।