রিয়াদ: বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশের শাসকরা যখন সউদি আরবের রাজধানী রিয়াধে একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সেই সময় ফিলিস্তিন ও লেবাননের আকাশ দখল করে মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ করল ইসরাইলের যুদ্ধ বিমান। গত ৪৮ ঘণ্টায় নিহত হয়েছে ৬২ জন ফিলিস্তিনি, আর আহতের সংখ্যা দেড়শত। ১৪টি গ্রাম খালি করে দিতে বলেছে ইসরাইলের সেনারা। লেবাননে ১৩ বার বিমান আক্রমণ হয়েছে একদিনে। হতাহতের সংখ্যার সঠিক হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। ইসরাইল দর্পের সঙ্গে ঘোষণা করে দিয়েছে, কোনোভাবেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মেনে নেবে না তারা। বরং আরও জমিন দখল করে তাদের বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে।
রিয়াধে বিশ্ব মুসলিম নেতাদের বৈঠক নিয়ে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন যে এবার ট্রাম্প ইসরাইলকে বিরত রাখার পরামর্শ দিতে পারে মুসলিম নেতাদের বিশেষ করে সউদি আরবের ভূমিকা দেখার পর। কিন্তু ট্রাম্পের মুখ খোলার আগেই ইসরাইল মিসাইল ও বোমা দিয়ে নিজেদের দম্ভের প্রদর্শনী দেখালো রিয়াধে সমবেত বিশ্ব নেতাদের। এই বৈঠকের ব্যাপারে হামাস নেতাদের মন্তব্য ইসরাইলের আমেরিকার মদদ পেয়ে আরও ভয়ানক চেহারায়, নিন্দা, উপদেশ, অনুরোধ ও উদ্বেগ প্রকাশে যেকোনও কাজ হবে না সেটা সকলেই জানেন। ইসরাইলকে শক্তির ভাষায় জবাব দিতে হবে। সেই শক্তি না দেখালে কখনোই দমানো যাবে না যায়নবাদীদের।
উল্লেখ্য, রিয়াধ বৈঠকে সিদ্ধান্ত পাশ হয়েছে ১৯৬৭ সালের সীমানা মেনে নিতে হবে ইসরাইলকে। শরণার্থীদের মাতৃভূমিতে ফিরে আসার সুযোগ করে দিতে হবে। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে। পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করতে হবে ফিলিস্তিনের। রাষ্ট্রসংঘকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে আর আন্তর্জাতিক টিম নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই এই কাজ শেষ করবে। অবশ্য ইরানের দাবি ছিল, ইসরাইলকে রাষ্ট্রের তালিকার বাইরে রাখার উদ্যোগ নিক রাষ্ট্রসংঘ। রিয়াধ বৈঠক নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া হচ্ছেসউদি আরব বিগত এক বছরের মধ্যে এই প্রথম জোরালো অভিযোগ আনল বিশ্বনেতাদের সামনে। ফিলিস্তিনের ও লেবাননের নাগরিকদের নিজের ভাই আখ্যা দিয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করলেন যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমন। এই সলমনের উপরই বেশি ভরসা ছিল আমেরিকা ইসরাইলের প্রস্তাবিত আব্রাহাম মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন করার জন্য।