পারিজাত মোল্লা: চলতি সপ্তাহে দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশনের(কবি তীর্থ চুরুলিয়া) পরিচালনায় কলকাতার নলিনী সভা ঘরে প্রচুর গুণী মানুষদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত করল বসন্ত উৎসব। যে উৎসবের নামকরণ করা হয়েছে “জাতির জীবনে বসন্ত এনেছে নজরুল”। দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশনের কর্ণধার সঙ্গীত শিল্পী সোনালী কাজী এদিনের অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাগত জানান ও স্বাগত ভাষণ দেন। তাঁর সুমধুর কণ্ঠে নজরুল কবিতা ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন যা শুনে সমগ্র সভাঘরের প্রতিটা মানুষ হাততালিতে ভরিয়ে তোলেন। এদিনের অনুষ্ঠানে দর্শকের জন্য সব থেকে বড় পাওয়া কবির ভ্রাতুষ্পুত্র কাজী রেজাউল করিম অজানা অচেনা নজরুলের দর্শনকে তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, নজরুলের ধুমকেতু আবৃত্তি করেন।
পত্রিকার শতবর্ষ উপলক্ষে দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন নব ধূমকেতু নামে এদিন প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক নজরুল গবেষক রাজীব রাজিবুল হাসান নজরুলের লেখা অভিভাষণ না দেখে পড়ে শোনান।
বাংলাদেশের শিল্পী ও আইনজীবী শিমুল পারভীন নজরুলের একটি চিঠি পড়ে সকলকে বিস্মিত করেন। অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক পৃথ্বীরাজ সেন, আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও শীর্ষেন্দু সিংহ রায়, দোলনচাঁপা সভানেত্রী প্রণতি বন্দ্যোপাধ্যায়, আবৃত্তিকার সেলিম দুরানি বিশ্বাস, ডা: পার্থ সারথি মুখার্জি, বিশিষ্ট কবি রজত মোহন রায় প্রমুখরা বক্তব্য রাখেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে অতিথির আসন অলংকৃত করেছিলেন “কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি”র সম্পাদক ও সাংবাদিক মোল্লা জসিমউদ্দিন।। সকলকে স্বাগত জানান ডা: কোহিনুর কাজী, কল্লোল কাজী, রুপা দত্ত। বর্ধমানের নজরুল সঙ্গীত শিল্পী রুবি আজিম তার সঙ্গীত পরিবেশনে মুগ্ধতায় ভরিয়ে তুলেছিলেন সভা ঘর। গানে কবিতায় একটি মনোজ্ঞ আলেখ্য ছিল অনবদ্য।
পরিচালনা করেন আকাশবাণীও দূরদর্শনের শিল্পী প্রণব গুহ। অংশগ্রহণে জ্যোতি কণা মিত্র, সঙ্গীতা চৌধুরী, গানে পৌলমী গুহ। এছাড়াও সঙ্গীত, একক নৃত্য, কবিতা পাঠ করেন গুণীজনেরা। অনুষ্ঠান চলাকালীন দুজন আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পী দীপঙ্কর সমাদ্দার ও বিশ্বনাথ দাস নজরুল ও বসন্ত এই থিমের উপরে রং ও আবির দিয়ে ছবি আঁকলেন এবং অনুষ্ঠানের শেষে ছবি দুটি নজরুল ইসলামের কবি কক্ষের জন্য সংগ্রহে রাখলেন কবির ভাতুষ্পুত্র বর্ষীয়ান কাজী রেজাউল করিম।
এই দুজন চিত্রশিল্পীকে মঞ্চে পুষ্পস্তবক ও উপহার দিয়ে সম্মানিত করলেন সোনালী কাজী। বিশ্বনাথ বাবু জানালেন এই ধরনের অনুষ্ঠানের ছবি আঁকার সৌভাগ্য এবং ব্যতিক্রমী সুন্দর অভিজ্ঞতা তার সারা জীবন মনে থাকবে। এক কথায় সমগ্র অনুষ্ঠানটি প্রশংসার দাবি রাখে।