৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নদিয়া: বেথুয়াডহরিতে প্রতিবাদ- বিক্ষোভ , স্টেশনে ঢুকে ট্রেন ভাঙচুর

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১২ জুন ২০২২, রবিবার
  • / 4

REPRESENTATIVE IMAGE

পুবের কলম প্রতিবেদক,নদিয়া:নবী মুহাম্মদ সা.এর প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার  নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানায় কয়েকহাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখায়। তারা ৩৪নং জাতীয় সড়কও অবরোধ করে।

সূত্রের খবর, এদিন এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মানুষ থানায় এই ধর্ম বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না, সেই দাবিতেই এই বিক্ষোভ চলে।

এরপর পুলিশ লাঠি উচিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।এই সুযোগে বেথুয়াডহরি স্টেশনে ঢুকে ট্রেনে হামলা চালাল একদল মিছিলকারী। স্টেশনে আটকে পড়ে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস। কিছু পরে ট্রেনটি বেরিয়ে যায়।স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা  আপ লালগোলা মেমু ট্রেনে তারা আবার ইট পাটকেল ছোঁড়ে বলে অভিযোগ।তবে ওই ট্রেন কোন যাত্রী ছিলনা।

ওই আপ লালগোলা এক্সপ্রেস বেথুয়াডহরি স্টেশনে  আসার পরই কিছু মানুষ স্টেশনে ঢুকে ওই ট্রেনকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। ট্রেনে হামলার পর স্টেশনের বাইরে এসে বাইরের দোকানপাট, টোটো গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

স্টেশন লাগোয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেখানে এদিন একটি মিছিল হয়। ওই মিছিলের ফলে জাতীয় সড়কে ট্রাক-বাস আটকে য়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষ্ণনগর থেকে চলে আসে একটি বিশাল পুলিস বাহিনী। এলাকার তৃণমূল ও বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠে বিক্ষাভকারীদের বিরুদ্ধে।তবে স্থানীয় বিধায়ক তথা তুণমূলের জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান।তবে ওই হামলায় আহত হয়েছেন লালগোলা এক্সপ্রেসের কিছু যাত্রী। এমনটাই খবর রেল সূত্রে।

এইসব হামলারকারী কারা? পুলিস জানিয়েছে, এদিন একদল লোক একটি প্রতিবাদ মিছিল করছিল। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। ওই ঘটনার পর এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ। এলাকা ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিস বাহিনী। ট্রেন চলাচল এখন স্বাভাবিক হয়েছে। কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম নেতৃবৃন্দ বলেছেন,বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার গ্রেফতারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ পথে নেমেছেন। রাস্তাঘাট অবরোধ করছেন, মিটিং-মিছিল করছেন। বৃহস্পতিবার থেকে যেভাবে পথ অবরোধ করা হচ্ছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।মানুষকে কষ্ট দিয়ে প্রতিবাদ করা ইসলাম শেখায়নি। অন্যভাবে প্রতিবাদ করুন, কিন্তু মানুষকে কষ্ট দিয়ে নয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নদিয়া: বেথুয়াডহরিতে প্রতিবাদ- বিক্ষোভ , স্টেশনে ঢুকে ট্রেন ভাঙচুর

আপডেট : ১২ জুন ২০২২, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক,নদিয়া:নবী মুহাম্মদ সা.এর প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার  নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানায় কয়েকহাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখায়। তারা ৩৪নং জাতীয় সড়কও অবরোধ করে।

সূত্রের খবর, এদিন এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মানুষ থানায় এই ধর্ম বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না, সেই দাবিতেই এই বিক্ষোভ চলে।

এরপর পুলিশ লাঠি উচিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।এই সুযোগে বেথুয়াডহরি স্টেশনে ঢুকে ট্রেনে হামলা চালাল একদল মিছিলকারী। স্টেশনে আটকে পড়ে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস। কিছু পরে ট্রেনটি বেরিয়ে যায়।স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা  আপ লালগোলা মেমু ট্রেনে তারা আবার ইট পাটকেল ছোঁড়ে বলে অভিযোগ।তবে ওই ট্রেন কোন যাত্রী ছিলনা।

ওই আপ লালগোলা এক্সপ্রেস বেথুয়াডহরি স্টেশনে  আসার পরই কিছু মানুষ স্টেশনে ঢুকে ওই ট্রেনকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। ট্রেনে হামলার পর স্টেশনের বাইরে এসে বাইরের দোকানপাট, টোটো গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

স্টেশন লাগোয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেখানে এদিন একটি মিছিল হয়। ওই মিছিলের ফলে জাতীয় সড়কে ট্রাক-বাস আটকে য়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষ্ণনগর থেকে চলে আসে একটি বিশাল পুলিস বাহিনী। এলাকার তৃণমূল ও বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠে বিক্ষাভকারীদের বিরুদ্ধে।তবে স্থানীয় বিধায়ক তথা তুণমূলের জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান।তবে ওই হামলায় আহত হয়েছেন লালগোলা এক্সপ্রেসের কিছু যাত্রী। এমনটাই খবর রেল সূত্রে।

এইসব হামলারকারী কারা? পুলিস জানিয়েছে, এদিন একদল লোক একটি প্রতিবাদ মিছিল করছিল। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। ওই ঘটনার পর এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ। এলাকা ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিস বাহিনী। ট্রেন চলাচল এখন স্বাভাবিক হয়েছে। কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম নেতৃবৃন্দ বলেছেন,বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার গ্রেফতারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ পথে নেমেছেন। রাস্তাঘাট অবরোধ করছেন, মিটিং-মিছিল করছেন। বৃহস্পতিবার থেকে যেভাবে পথ অবরোধ করা হচ্ছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।মানুষকে কষ্ট দিয়ে প্রতিবাদ করা ইসলাম শেখায়নি। অন্যভাবে প্রতিবাদ করুন, কিন্তু মানুষকে কষ্ট দিয়ে নয়।