পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা আত্মহত্যা মামলায় বড় সাফল্য পেয়েছে মুম্বই পুলিশ। প্রাথমিক তদন্ত ও তুনিশা শর্মার পরিবারের অভিযোগের পর পুলিশ তার সঙ্গে কাজ করা অভিনেতা শিজান খানকে গ্রেফতার করেছে। শিজানের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শনিবার খবর আসে টিভি অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা তার শোয়ের সেটে আত্মহত্যা করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রথমে এটি আত্মহত্যার ঘটনা মনে হলেও তদন্ত যতই এগিয়েছে ততই সন্দেহ করা হচ্ছে শিজানকে। পুলিশ গভীর রাতে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩০৬ ধারার (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) অধীনে শিজান মুহাম্মাদ খানকে গ্রেফতার করেছে।
বলা হচ্ছে, তুনিশা শর্মা ও শিজান আগেও সম্পর্কে ছিলেন। পরে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর থেকে শিজান ওই অভিনেত্রীকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিচ্ছিল।
হাতে বাঁধা ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে ফাঁসিতে ঝোলেন তুনিশা। আগে হাতে একটা আঘাত ছিল, সেটা ঠিক করার জন্য চিকিৎসক ক্রেপ ব্যান্ডেজ বাঁধতে বলেছিলেন।
অভিনেত্রী মেক-আপ ফর্মে তার শোয়ের সেটকে ফাঁসির মঞ্চে পরিণত করেছিলেন।
পুলিশ জানায়, ১৫ ডিসেম্বর তুনিশার সঙ্গে শিজানের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর পুরোপুরি ভেঙে পড়েন এই অভিনেত্রী। তিনি ডিপ্রেশনে চলে যান এবং এটিই তার আত্মহত্যার প্রধান কারণ ছিল।
শিজান খানকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। তার আইনজীবী বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। এদিকে বিজেপি নেতা রাম কদম দাবি করেছেন, পুলিশকে ‘লাভ জিহাদ’ দৃষ্টিকোণ থেকেও তদন্ত করা উচিত। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, এক সপ্তাহ আগে তুনিশা ও শিজানের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। এরপর থেকে তুনিশা বিষণ্নতায় ভুগছিলেন।
তদন্তের জন্য শিজানের মোবাইল ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে তুনিশা শর্মার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ফাঁসিতে ঝুলে শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে তুনিশার। এদিকে গ্রেফতারকৃত শিজান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।