৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাইফোঁটায় কালীঘাটে মুকুল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি ফের ময়দানে! জল্পনা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 5

ফাইল চিত্র

পুবের কলম প্রতিবেদক: কালীঘাটের তৃণমূল সুপ্রিমোর বাড়িতে ভাইফোঁটায় প্রত্যেক বছর হয়। তবে এ বছর যেন ভাইফোঁটা একটা অন্যরকম মাত্রা নিয়ে এসেছে কালীঘাটের ৩০ বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের টালির বাড়িতে। এ যেন ঘরে ফেরার উৎসব। রি-ইউনিয়ান। প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় প্রিয়জন ঘরে ফেরে কাজেই শারদ উৎসব বাঙালির কাছে একরকম ঘরে ফেরার উৎসবই।

তবে কালীঘাটে আজকের দিনটার গুরুত্ব যেন আলাদাই। কারণ এদিন রাজনীতিতে ক্রমেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া দুই পুরনো ভাইকে সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও এর মধ্যে আনুষ্ঠানিকতা কিছু নেই। বরং যা আছে নিখাদ স্নেহ এবং অভিভাবক সুলভ নির্দেশ। রাজনীতিতে শোভন এবং মমতা বা মুকুল মমতা সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মাঝে অবশ্য দুজনেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় দুজনেই গেরুয়া শিবির ছেড়েছেন।

মুকুল আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেও শোভন চট্টোপাধ্যায় দেননি। এদিন ভাইফোঁটার উৎসবে কালীঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমোর বাড়িতে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন দুজনেই। আর দু’জনকেই রাজনীতিতে আরো সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন প্রায় আট বছর বাদে কালীঘাটের বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে গিয়েছিলেন একদা তৃণমূল কংগ্রেসের ২ নম্বর ব্যক্তি মুকুল রায়।

এবার কালীঘাটের বাড়িতে যাঁর উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ল, তিনি দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। ২০২১ এ বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, দলের কোন গুরুদায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হবে। তবে মাঝে মুকুল রায় অসুস্থ থাকায় সেভাবে দলের কাজ করতে পারেননি। কিন্তু আপাতত তিনি সুস্থ। দশমীর পরও একদিন কালীঘাটে গিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুকুল রায়।  আর ৮ বছর পর ভাইফোঁটায় গেলেন তিনি। সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মধ্যেই পালিত হয়। এবার মুকুল রায় সেখানে উপস্থিত হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।

মুকুল ফের মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি তবে বড় কোনও দায়িত্ব পেতে চলেছেন মুকুল রায়? তবে এ দিনের হাজিরার তালিকা থেকে একজনের অনুপস্থিতি সাংবাদিক মহলে যথেষ্ট আলোচনায় থাকলো। যদিও তার পক্ষে সশরীরে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব নয়। কারণ তিনি এই মুহূর্তে রয়েছেন কারা অন্তরালে।

কিন্তু প্রতিবছর এই দিনটিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আমন্ত্রণ পেতেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে ভাইফোঁটা দিতেন। জানা নেই, এই নেতার অনুপস্থিতি এদিন ওই আনন্দ অনুষ্ঠানে আলোচিত হয়েছে কিনা। তবে জেলের বন্ধ কুঠুরিতে বসে একজন নিশ্চয়ই ভেবেছেন এই দিনটির কথা। আর ফেলেছেন দীর্ঘশ্বাস। তিনি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দী রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভাইফোঁটায় কালীঘাটে মুকুল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি ফের ময়দানে! জল্পনা

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: কালীঘাটের তৃণমূল সুপ্রিমোর বাড়িতে ভাইফোঁটায় প্রত্যেক বছর হয়। তবে এ বছর যেন ভাইফোঁটা একটা অন্যরকম মাত্রা নিয়ে এসেছে কালীঘাটের ৩০ বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের টালির বাড়িতে। এ যেন ঘরে ফেরার উৎসব। রি-ইউনিয়ান। প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় প্রিয়জন ঘরে ফেরে কাজেই শারদ উৎসব বাঙালির কাছে একরকম ঘরে ফেরার উৎসবই।

তবে কালীঘাটে আজকের দিনটার গুরুত্ব যেন আলাদাই। কারণ এদিন রাজনীতিতে ক্রমেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া দুই পুরনো ভাইকে সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও এর মধ্যে আনুষ্ঠানিকতা কিছু নেই। বরং যা আছে নিখাদ স্নেহ এবং অভিভাবক সুলভ নির্দেশ। রাজনীতিতে শোভন এবং মমতা বা মুকুল মমতা সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মাঝে অবশ্য দুজনেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় দুজনেই গেরুয়া শিবির ছেড়েছেন।

মুকুল আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেও শোভন চট্টোপাধ্যায় দেননি। এদিন ভাইফোঁটার উৎসবে কালীঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমোর বাড়িতে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন দুজনেই। আর দু’জনকেই রাজনীতিতে আরো সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন প্রায় আট বছর বাদে কালীঘাটের বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে গিয়েছিলেন একদা তৃণমূল কংগ্রেসের ২ নম্বর ব্যক্তি মুকুল রায়।

এবার কালীঘাটের বাড়িতে যাঁর উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ল, তিনি দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। ২০২১ এ বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, দলের কোন গুরুদায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হবে। তবে মাঝে মুকুল রায় অসুস্থ থাকায় সেভাবে দলের কাজ করতে পারেননি। কিন্তু আপাতত তিনি সুস্থ। দশমীর পরও একদিন কালীঘাটে গিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুকুল রায়।  আর ৮ বছর পর ভাইফোঁটায় গেলেন তিনি। সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মধ্যেই পালিত হয়। এবার মুকুল রায় সেখানে উপস্থিত হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।

মুকুল ফের মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি তবে বড় কোনও দায়িত্ব পেতে চলেছেন মুকুল রায়? তবে এ দিনের হাজিরার তালিকা থেকে একজনের অনুপস্থিতি সাংবাদিক মহলে যথেষ্ট আলোচনায় থাকলো। যদিও তার পক্ষে সশরীরে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব নয়। কারণ তিনি এই মুহূর্তে রয়েছেন কারা অন্তরালে।

কিন্তু প্রতিবছর এই দিনটিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আমন্ত্রণ পেতেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে ভাইফোঁটা দিতেন। জানা নেই, এই নেতার অনুপস্থিতি এদিন ওই আনন্দ অনুষ্ঠানে আলোচিত হয়েছে কিনা। তবে জেলের বন্ধ কুঠুরিতে বসে একজন নিশ্চয়ই ভেবেছেন এই দিনটির কথা। আর ফেলেছেন দীর্ঘশ্বাস। তিনি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দী রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।