নয়াদিল্লি: আগামী ফেব্রুয়ারিতেই মার্কিন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একথা ঘোষণা করেছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাকশন মোডে এসেছেন ট্রাম্প। নাগরিকত্ব থেকে শুরু করে মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প যা বিশ্বকে অবাক করেছে। এদিকে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে।আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদির আমেরিকা সফর কূটনীতি থেকে শুরু করে ব্যবসা অনেক ক্ষেত্রেই ভারতকে উপকৃত করবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।
প্রথমত, আগামী দিনে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং পশ্চিম এশিয়ায় ভারত ও আমেরিকার কৌশলগত অবস্থান কী হতে চলেছে, মোদির এই আসন্ন সফর কি সেই সম্পর্কে কোনও ইতিবাচক বার্তা দেবে?কারণ, এক্ষেত্রে দুই দেশের কাছেই কয়েকটি ‘কমন ফ্যাক্টর’ রয়েছে। যেমন – ভারত ও আমেরিকা, দুই দেশই চিনকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। দুই দেশই চায় সৌদি-ইজরায়েলের মধ্যে একটি চুক্তি বা সমঝোতা হোক এবং দুই দেশই চায় ইউরোপে স্থিতাবস্থা বজায় থাকুক ও ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হয়ে শান্তি ফিরুক।
দ্বিতীয়ত, ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের একটা একান্ত আলাপচারিতা দরকার। এবং সেটা সর্বোচ্চ স্তরেই হওয়া ভালো। কারণ, এই মুহূর্তে এমন একাধিক ইস্যু রয়েছে, যা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। যেমন – দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, অভিবাসন, প্রতিরক্ষা এবং বিনিয়োগ। মোদির আসন্ন সফরে এ নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলাদাভাবে কথা হলে, তা উভয় পক্ষের জন্যই ইতিবাচক হবে। এছাড়াও মোদির এই সফরের অনেকটা জুড়ে থাকতে পারে চিন। দ্বিতীয়বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ও পরে ট্রাম্পের চিনকে নিয়ে অবস্থান যথেষ্ট লক্ষ্যণীয়। চিন ইস্যুতে ভারত ও আমেরিকা কতটা পরস্পরকে ভরসা করে, সেটা মোদির আসন্ন সফরে অনেকটা স্পষ্ট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাড়বাড়ন্ত এবং সেই ক্ষেত্রে চিনা সংস্থা ডিপসিক-এর অনুপ্রবেশ, ভারত এবং আমেরিকা – দুই দেশের কাছেই চিন্তার বিষয়। সেই বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।