পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ হরিয়ানার ন্যুহতে গোরক্ষক দল ফের দাপট দেখাল। মুসলিম ট্রাকচালক আরমান খানকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নির্মম প্রহার করা হয়। যদিও, গাড়িতে কোনও গাভী ছিল না। বলদ নিয়ে যাচ্ছিল আরমান। গোরক্ষকরা তাকে বলতে বাধ্য করে ‘ব্যায়েল হামারা বাপ হ্যায়’, ‘গায় হামারা মাতা হ্যায়’। আরমানের চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয় গরু চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত সে। ভিডিয়োতে হাতজোড় করে বসে থাকতে দেখা যায় গাড়ির চালককে। গরু পরিবহণের উপযুক্ত কাগজ দেখালেও রেহাই মেলেনি তার।
এই ঘটনা কিন্তু ১৮ ডিসেম্বরের। গোরক্ষকদের ফের দাপটের বিষয়টি সামনে আসে গোরক্ষকরা নিজেদের বাহাদুরির এই কাজের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়ার পর। রবিবার সেই ভিডিয়ো দেখার পরই জানতে পারা যায় আরমান খানের উপর নির্মম নির্যাতনের খবর। গোরক্ষকদের দাপটে ও তাদের মাধ্যমে হত্যার ঘটনা সামনে আসার পর প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসেছিল। আদালত আবার নির্দেশ দেয় প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। গরু ব্যবসায়ী ও দুধের ব্যাপারি-সহ মুসলিম ট্রাকচালকরা ভাবতে থাকে হয়তো গোরক্ষক দলের দাপট এবার কমবে হরিয়ানায়। কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় ফের আঘাত হানতে থাকে তথাকথিত গোরক্ষকরা। আরমানের নিগ্রহের খবর জানা যেত না এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা না হলে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে গোরক্ষকদের বিশাল দাপট এখানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কয়েক মাস আগে স¨েহ করে ১৯ বছরের আরিয়ান মিশ্রকে গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করে এসে গুলিতে মেরে ফেলেছে এই গোরক্ষক দল। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছিল আরিয়ান। গোরক্ষার নাম দিয়ে গণহত্যায় মেতে উঠেছিল গেরুয়া সমর্থকরা। তাদের দাপট যে কমেনি, হরিয়ানার আরমান খান নিগ্রহের ভিডিয়ো তার বড় প্রমাণ।