বিজাপুর, ৪ জানুয়ারিঃ বিজাপুরের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করতেন। একের পর এক অন্যায়ের পর্দাফাঁসও করেছেন। এহেন সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের (৩৩) প্রাণহীন দেহ উদ্ধার হল শুক্রবার।
বস্তারে এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ উঠছে যে, ১২০ কোটির দুর্নীতি ফাঁস করার জন্যই সাংবাদিক মুকেশকে খুন হতে হয়েছে। তবে শুধু এই দুর্নীতির ঘটনাই নয়, এর আগে এমন বহু ঘটনা এবং দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন মুকেশ, যা ছত্তীসগঢ়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল।
পরিবারের অভিযোগ, এমন অনেক খবর প্রকাশ্যে আনার জন্য মুকেশকে হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে। কিন্তু সে সবকে উপেক্ষা করেই সত্য উদ্ঘাটনের কাজ চালিয়ে গিয়েছেন মুকেশ। আর সেজন্যই এবার তাঁকে প্রাণ দিতে হল।
পরিবার সূত্রে খবর ১ জানুয়ারির রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন মুকেশ।
সরকারি টেন্ডারে দুর্নীতি সহ স্থানীয় বিষয়ে নির্ভীক প্রতিবেদনের জন্য পরিচিত ছিলেন মুকেশ। মুকেশের মৃত্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে এডিটর্স গিল্ডও। এই খুনের ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের একজন নিহতর পরিচিত বলে জানা গেছে। প্রধান অভিযুক্ত রীতেশ চন্দ্রকর নিহত সাংবাদিকের দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে রীতেশ পলাতক ছিল।
মুকেশ একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন। ‘বাস্তার জংশন’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল্য চালাতেন। সেখানে ভিউয়ার ছিল দে’ড় লক্ষেরও বেশি। স্থানীয় খবরই তিনি বেশি করতেন। সেজন্য এলাকায় পরিচিত মুখ ছিলেন মুকেশ। একবার মাওবাদীদের হাতে অপহৃত এক পুলিশকর্মীর মুক্তি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেজন্য পুলিশ ফোর্স তাঁকে পুরস্কৃত করেছিল।