তেল আবিব, ২৩ অক্টোবর: গাজা থেকে ফেরার পর ইসরাইলের হাজার হাজার সেনা পিটিএসডিসহ নানা মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এমনকি তাদের অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এমনই তথ্য দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক সদস্যের পরিবার।
গত বছর চার সন্তানের পিতা এলিরান মিজরাহিকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গাজায় পাঠানো হয়। পরে গাজায় যুদ্ধ চললেও সেখান থেকে তাকে ইসরাইলে ফেরত আনা হয়।
পুনরায় গাজায় পাঠানোর আগেই অবসাদে ভুগে আত্মহত্যা করে সে। এলিরানের মা জেনি মিজরাহি বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ করতে মানসিকভাবে বড় আঘাত পায় এলিরান। সেখান থেকে ফেরার পর চরম অবসাদে ভুগছিল সে। এর ফল মোটেও ভালো হয়নি। সে গাজা ছেড়েছিল, তবে গাজা তাকে ছাড়েনি। সেই অবসাদেই আমার ছেলেটা মারা গেল।’ এলিরানের বোন শির বলেন, গাজা থেকে ফেরার পর অল্পতে রেগে যেত এলিরান, রাতের পর রাত ঘুম হতো না, ঘামতে থাকত সে।
গাজায় ১৮৬ দিন ছিল এলিরান।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তার বুলডোজারে হামলা চালানো হয়। এতে হাঁটুতে আঘাত পায় সে। তারপর চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে ইসরাইলে ফিরিয়ে নেওয়া হয় তাকে। এপ্রিলে তাকে পিটিএসডির চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়। প্রতি সপ্তাহেই থেরাপি নিচ্ছিল এলিরান। তবে হঠাৎই একদিন আত্মহত্যা করে বসে সে।
গাজা যুদ্ধ থেকে ফেরা এক–তৃতীয়াংশ ইসরাইলি সেনাই মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছে।
READ MORE NEWS: দুবাই: উবারে ‘উট’ ডেকে বাঁচলেন মরুতে পথ হারানো ২ নারী!
সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য আত্মহত্যাও করেছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতি মাসে এক হাজারেরও বেশি আহত সেনাকে চিকিৎসার জন্য ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৩৫ শতাংশই নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন।
প্রসঙ্গত, এলিরান মিজরাহি একা নয়, গাজায় যুদ্ধ করতে গিয়ে ‘পাগল’ হয়ে গেছে হাজার হাজার ইহুদি সেনা। তাদেরকে মানসিকভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করছে সরকার। তবে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগে কতজন সেনা আত্মহত্যা করেছে সেটি স্পষ্ট করেনি প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
1 Comment
Pingback: বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি, বঙ্গভবনে ব্যাপক বিক্ষোভ জনতার