পুবের কলম, প্রতিবেদক: লোকসভা নির্বাচন তাকে হতাশ করেছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন তাকে দু’হাত ভরে সমর্থন করেছে। তবে নির্বাচনের পর জঙ্গলমহলের মাটিতে পা দেওয়া হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। আগামী সোমবার জঙ্গলমহলবাসীদের ধন্যবাদ জানাতে ঝাড়গ্রাম যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, এই অবসরে বন্যা বিধ্বস্ত ঘাটালের মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে অন্তত এমটাই আভাস মিলেছে। আগামী ৯ আগস্ট ভারতছাড়ো আন্দোলনের বর্ষপূর্তির দিন এইকসঙ্গে এই দিনটি বিশ্ব আদিবাসী দিবস। এই উপলক্ষে দুটি অনুষ্ঠানকে একসঙ্গে ঝাড়গ্রামেই পালন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই উপলক্ষেই সোমবার দু’দিনের জেলা সফরে যাচ্ছেন তিনি। এই সফরে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান ছাড়াও জেলার প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
নির্বাচন ও করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা সরকারি প্রকল্পগুলির দ্রুত শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন্ত তিনি।
উল্লেখ্য, গত লোকসভায় চরম বিপর্যয়ের পর বিধানসভায় স্বপ্নের পুনরুত্থান ঘটেছে তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে জঙ্গলমহলের জনতা ঘাস ফুল ফুটেছে আর এতে হাসি ফুটেছে চুনিবালা হাঁসদার কন্যা বীরবাহা হাঁসদার মুখে।
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হয়েছেন। সোমবার তাকে সঙ্গে নিয়েই জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে যাবেন মমতা। এ দিকে গত সপ্তাহ থেকে টানা বৃষ্টিপাত এবং ডিভিসির ছাড়া জলে চরম পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষ। পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ঘাটাল দাসপুর চন্দ্রকোনা সর্বত্রই ছবি কমবেশি ১ সাধারণ মানুষকে যাতায়াতের জন্য এই মুহূর্তে নৌকায় হয়েছে তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা। এ ছাড়া পানীয় জলের সঙ্কট তো আছেই। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম সফরকালে পশ্চিম মেদিনীপুর তথা ঘাটালেও যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে, ওই দুর্গত এলাকার মানুষগুলো যাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন তিনি।