ওয়েব ডেস্ক, পুবের কলমঃ এবার কুম্ভ থেকেই মসজিদ ‘দখল’-এর ডাক দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। তারা জানিয়েছে, কাশী-মথুরা সহ মোট ৪২ হাজার মসজিদের তালিকা তৈরি করেছে তারা। সেগুলির ‘দখল’ নিয়ে তারা মন্দির তৈরি করবে। আর এই দাবিতে ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার কুম্ভমেলা চত্বরে নিজেদের ক্যাম্পে হিন্দু ধর্মগুরু ও সাধুদের নিয়ে একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছে ভিএইচপি। সেখানে কাশীর জ্ঞানভাপী মসজিদ ও মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদ নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হবে বলে ভিএইচপি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কীভাবে জ্ঞানভাপী মসজিদ ও শাহী ঈদগাহ মসজিদকে হিন্দুদের হাতে হস্তান্তর করা যায় ও সেখানে মন্দির তৈরি করা যায় তা নিয়ে রণকৌশল ঠিক হবে বলে তারা জানিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন এই সভার কথিত অ্যাজেন্ডা আরএসএস সুপ্রিমো মোহন ভাগবতের ‘পরামর্শ’কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়েছে। ভাগবত বলেছিলেন, ‘প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের সন্ধান করা উচিত নয়।’ ভিএইচপির অ্যাজেন্ডা অবশ্য সরাসরি ভাগবতের মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করছে। ভিএইচপি সভাপতি অলোক কুমার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কাশী ও মথুরা নিয়ে সেই ১৯৮৪ সাল থেকে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই দুটি আমাদের অর্জন করতেই হবে। এই বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে।’ তিনি আরও জানান, বৈঠকে আরও কিছু ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’ নেওয়া হবে। কুমারের কথায়, ‘সমস্ত ভিএইচপি সদস্যা আমাদের সাধু-সন্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের ২৪ জানুয়ারি আমাদের শিবিরে আসার জন্য এবং হিন্দুদের উদ্বিগ্ন প্রতিটি সম্ভাব্য বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’ বারাণসীর পঞ্চদশনাম আবাহন আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর সাধু প্রকাশানন্দ মহারাজ আরও কড়া মন্তব্য করেছেন। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অ্যাজেন্ডা পরিষ্কার। আমরা চাই জ্ঞানভাপী মসজিদ (বারাণসী) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জ্ঞানভাপী মন্দির হয়ে উঠুক। পাশাপাশি আমরা মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদও চাই।’ এরপরই আরও বড় হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘মুঘল শাসকরা মন্দির ভেঙে, বা মন্দিরকে মুসলিম ধর্মীয় উপাসনালয়ে রূপান্তর করে অনেক মসজিদ নির্মাণ করেছিল। আমরা এমন ৪২ হাজার মসজিদের একটি তালিকা তৈরি করেছি।’ ভিএইচপি-র ডাকা এই সভা প্রসঙ্গে মথুরার এক প্রচারক দেবকিনন্দন ঠাকুর সন্তোষপ্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা খুশি যে, ভিএইচপি সভা ডেকেছে। সনাতন (হিন্দু) লোকেরা মথুরা এবং কাশীতে একই দিনে করসেবা করতে চায়।’ সর্বভারতীয় আখড়া পরিষদের প্রধান রবীন্দ্র পুরিও জানিয়েছেন, ‘আমরা ভিএইচপির সঙ্গে আছি। আমরা চাই ওয়াকফ বোর্ডের আদলে একটি সনাতন বোর্ড গঠন করতে, না হলে ওয়াকফ বোর্ড বাতিল করতে হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের এটা করতে হবে। আমাদের আর একটি দাবি হল, গরুকে রাষ্ট্রমাতা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।’ প্রকাশানন্দ বলেন, ‘সাধুরা ২০২৫ সালেই লক্ষ্য অর্জন করতে চেয়েছিলেন। আমরা চাই আমাদের মুসলিম ভাইয়েরা ভারতের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করুক এবং এই কাঠামোগুলো (মসজিদ) আমাদের কাছে সমর্পণ করুক। আমরা শান্তির মাধ্যমে না পেলে ক্রান্তির মাধ্যমে এটি অর্জন করব।’ ভিএইচপি-র এই সভা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনে বলা হয়েছে, একমাত্র বাবরি মসজিদ বাদে ১৯৪৭ সালে দেশের সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের যে চরিত্র ছিল সেটাই বজায় রাখতে হবে। ভিএইচপির অ্যাজেন্ডা সংবিধান, আইন কিছুই মানছে না। আর মুঘলরা মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করেছে বলে যে দাবি করছে তাও ভিত্তিহীন। তাছাড়া, কাশী-মথুরা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। বিচারাধীন বিষয়গুলিকেও তারা মানতে চাইছে না।
ব্রেকিং
- ট্রেনে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্তের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ আদালতের
- মমতার অনুষ্ঠানে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা, কাজ করতে চান ‘দিদি’র সঙ্গে
- পাথরে ভরা দূর্গম পথ হেঁটে মদিনার উদ্দেশ্যে ইউসুফ
- কুয়াশার জেরে ব্যহত বিমান পরিষেবা
- সাহাজাদাপুরে তৃনমূল সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ
- আন্তর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতায় দুটি স্বর্ণপদক পেল বজবজের সুস্মিত নস্কর
- বাঘের গতিবিধি বুঝতে সুন্দরবনের লোকালয়ে বসানো হচ্ছে ১০০টি ক্যামেরা
- ঠাকুরপুকুর এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার
- নেতাজি বড় চক্রান্তের শিকার, কেন্দ্রকে দুষে আক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর
- ফের লস অ্যাঞ্জেলেসে নতুন করে দাবানল, এলাকাবাসীকে ঘর ছাড়ার নির্দেশ প্রশাসনের
- নিউইয়র্কে স্বীকৃতি পেল বাংলা নববর্ষ
- মেক্সিকো সীমান্তে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করছেন ট্রাম্প