সেনাপত্নী হিসেবে নিজেকে আবব্ধ রাখেননি, মধুলিকা রাওয়াত ছিলেন এক প্রতিভাময়ী নারী

- আপডেট : ৯ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার
- / 3
পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ CDS বিপিন রাওয়াতের সহধর্মিণী ছিলেন মধুলিকা রাওয়াত। তামিলনাড়ুর নীলগিরির দুর্গম পার্বত্য এলাকায় অভিশপ্ত কপ্টার দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে মধুলিকার। তবে সেনা পত্নী হিসেবে নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি তিনি। মধুলিকা একজন সমাজসেবী। একদিকে মধুলিকা ছিলেন দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধানের সহধর্মিণী অপরদিকে তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবী। নারীদের সাবলম্বী করা থেকে শুরু করে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের জন্য কাজ করেছেন মধুলিকা।
১৯৬৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশের এক রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মধুলিকা রাজে সিং। বাবার নাম কুনওয়ার মৃগেন্দ্র সিং। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বিবাহের পরে তিনি হন মধুলিকা রাওয়াত। স্বামীর দেশসেবার পাশাপাশি চলেছে তাঁর সমাজসেবার কাজ।
মধুলিকা মধ্যপ্রদেশের মেয়ে হলেও, তিনি দিল্লিতে পড়াশোনা করেন তিনি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক হন। পরে বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিশেষ করে ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য কাজ করতেন তিনি। দেশের সর্ববৃহত এনজিও সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম সংস্থা AWWA (Army Wives Welfare Association)-এর সভাপতি ছিলেন।
সেনাকর্মীদের সন্তান, পরিবার ও স্ত্রীদের পাশে সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এই সংস্থা।
এছাড়াও একাধিক সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মধুলিকা রাওয়াত। ‘বীর নারী’ থেকে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্যও করে থাকতেন মধুলিকা। সেনাদের স্ত্রীদের ক্ষমতায়ন, তাদের স্ত্রী’রাও যাতে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারেন সেই বিষয়েও বিশেষ দৃষ্টি দিতেন তিনি। তাদের হাতের কাজ, সেলাই, ব্যাগ তৈরি, রান্না করা, বেকিংয়ের বিশেষ ক্লাস পাশে দাঁড়িয়েছেন মধুলিকা।
মধুলিকা ছিলেন মৃদুভাষী, অথচ ভীষণ কর্মচঞ্চল, প্রাণবন্ত, হাসিখুশি স্বভাবের মধুলিকার জন্য শোকস্তব্ধ AWWA- এর সকলে।