গাজা: তীব্র শীত ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় করুণ অবস্থা অবরুদ্ধ গাজার। শহিদ হচ্ছে একের পর এক শিশু। সোমবার সকালে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে এক মাস বয়সের শিশু আলী আল-বাত্রান মারা গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তীব্র শীতই তার মৃত্যুর কারণ। এর মাত্র একদিন আগে একই কারণে আলি আল-বাত্রানের যমজ ভাই, জুমা আল-বাত্রান মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় একটি আশ্রয়শিবিরে মারা যায়। এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বলা বাহুল্য, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। মাথা গোঁজার অবলম্বন হারিয়ে অধিকাংশ মানুষ খোলা আকাশের নিচে জীবন কাটাচ্ছেন। ইহুদি হামলার মধ্যেই গাজায় আর এক বিপদ দেখা দিয়েছে। হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানকার জনজীবন। তীব্র ঠান্ডায় অঞ্চলটিতে গত ১ সপ্তাহে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনই শিশু। জানা গেছে, ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলো মানুষকে এই তীব্র ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে পারছে না। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যায়নবাদী আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ৪৫ হাজার ৫৪১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮ হাজার ৩৩৮ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছেন ১৪৯ জন।
Read More: সিরিয়ায় পরমাণু বোমা নিক্ষেপ ইসরাইলের! তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বাভাষ
ঘটনাপ্রসঙ্গে এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই মানবিক বিপর্যয়ের জন্য নেতানিয়াহু সরকার দায়ী করেছে। দখলদার বাহিনীর আগ্রাসন এবং গণহত্যার কারণে মানবিক পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলোও এ হত্যাযজ্ঞে অংশীদার। আমরা এ বর্বরতা বন্ধের আহ্বান জানাই।