পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মন্দির-মসজিদ বিতর্কে উত্তপ্ত দেশ । দিন-প্রতিদিন অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠছে। দাঙ্গা-ফাসাদ রুটিনে পরিণত হয়েছে। ক্রমশই বেড়ে চলেছে মুসলিম বিদ্বেষী ঘটনা। পাশাপাশি সাম্ভাল মসজিদকে কেন্দ্র করে পুলিশি বর্বরতার প্রসঙ্গ টেনে মুসলিমদের ‘মন কি বাত’ শুনুন বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানলেন জামা মসজিদের শাহী ইমাম। শুক্রবার জুমার নমাজের সময় তিনি এই বার্তা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার আহ্বান জানিয়েছেন ইমাম সৈয়দ আহমদ বুখারি।
এদিন ইমাম বুখারি বলেন, যেভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে মুসলিমদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। নির্বিচারে তাঁদের রাস্তায় পিটিয়ে খুন করা হচ্ছে। উপাসনালয় গুলোতে আক্রমণ শানানো হচ্ছে তা অসহনীয়। আইনত অপরাধ। অথচ দেশের প্রশাসন নির্বাক। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আমি কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। এই গুলোর একটা সমাধান করা উচিত। কেন এই বিদ্বেষ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তা জানতে হবে। প্রয়োজন হলে ৩ জন মুসলিম ও ৩ জন অমুসলিম নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করুন। সমস্যা গুলো শুনুন। দেশের বর্তমান যা পরিস্থিতি তা স্বাধীনতার প্রাক্কালেও ছিল না। ১৯৪৭ সালেও পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ ছিল না, যতটা বর্তমানে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এক দশক ধরে আপনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে আছেন। আর কিছু না হোক ওই চেয়ারের সম্মানার্থে দেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি বিচার করুন। মুসলিমরা যেই কষ্টটা সহ্য করছে সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। এই বিদ্বেষের ঝড় দেশের শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি আপনার মন কি বাত বলেন। কিন্তু এবার আপনাকে মুসলমানদের ‘মন কি বাত’ও শুনতে হবে। মুসলিমরা বর্তমান পরিস্থিতির কারণে উদ্বিগ্ন এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।’ সম্প্রীতি সাম্ভাল মসজিদকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তা অগ্রহণযোগ্য। উক্ত ঘটনা মুসলিম বিদ্বেষের জ্বলন্ত উদাহরণ। ইমাম বুখারির প্রশ্ন, ‘ভারতে এত বিদ্বেষ কেন?’
তিনি আরও বলেন, ঘৃণা ও সাম্প্রদায়িক হিংসার মোকাবিলায় দেশে যে আইন রয়েছে সেটি খুবই দুর্বল বলে প্রমাণিত হচ্ছে। এক ধর্মের মানুষকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পূর্বপুরুষরা কি এই দিনের জন্য স্বাধীনতা পেয়েছিলেন? হিন্দু এবং মুসলমানরা কি এখন আলাদাভাবে বসবাস করবে? আপনারা কিছু একটা করুন। না হয় পরবর্তীতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাবে।